২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

ধানের শীষের চেয়ারম্যান এখন আওয়ামী লীগে


এটি কোন গল্প নয়। গেল ইউপি নির্বাচনে কক্সবাজারের রামুতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত একমাত্র বিএনপি’র ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ঈসমাইল নোমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তিনি হাজারো জনতার সামনে রামু চৌমুহনী চত্তরে ১৩ এপ্রিল সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী সমাবেশের এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম চৌধুরীর হাত ধরে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে পদার্পনের কথা জানান। এ ঘটনা দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েন। কারণ রামুর এগারটি ইউনিয়নে কচ্ছপিয়া ইউপির নোমানই একমাত্র বিএনপির চেয়ারম্যান ছিলো। বাকিরা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এখন নোমানকেও হারালো বিএনপি। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক বৌদ্ধারা রামুতে বিএনপির অশনিসংকেত হিসাবে দেখছেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমানের নীতি, নৈতিকতা ও রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লবা কর্মকার বলেন, ‘নোমান সাহেব ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। প্রচারণা চালানোর সময় দেশরতœ শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কূরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে তাঁর হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগের সাংসদের একান্ত ও ব্যক্তিগত সচিবের উপর হামলা চালিয়েছেন তিনি। সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয়নেতা লুৎফর রহমান কাজল সাহেবের সঙ্গে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শিবিরের এই সাবেক নেতা এখন আবার লোভে পড়ে আওয়ামী লীগে যোগদেন! এটা হাস্যকর নয় কি?
জানতে চাইলে মুঠোফোনে কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান বলেন, ‘আমিতো যোগদানের আগে থেকেই আওয়ামী লীগ করতাম। রামুর সন্তান কমল সাহেবকে আগামীতেও এমপি করতে হবে। এ জন্যে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছি। ইউনিয়নে প্রচুর উন্নয়ন করতে চাই। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় এলাকার মানুষ অনেক খুশি।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মুসরাত জাহান মুন্নি বলেন, ‘সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের উন্নয়নের জোয়ার দেখে কচ্ছপিয়া ইউপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু নোমান আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এটি আমাদের এমপি কমল ভাইয়ের বড় সাফল্য।’
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিকদার বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। কারণ তাঁর বিষয়ে উপজেলা ও জেলা থেকে আমাদের মন্তব্য চাওয়া হয়নি। বিএনপি থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগে যোগদানের খবরে আমরা হতবাক হয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান কাজল বলেন, ‘এ খবর প্রথমে জানতে পেরে বিশ্বাস করিনি। কারণ আমি নিজেই এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে নোমানকে নির্বাচিত করেছি। পরে নিশ্চিত হয়ে আর্শয্য হলাম। আমরা প্রয়োজনিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
এদিকে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সত্যি হয়ে থাকলে বিষয়টা হাস্যকর। তবে আমরা আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির সঙ্গে থাকি। অন্য বিষয়গুলো তাঁদের একান্ত। কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিষয়টি আমরা খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত বক্তব্য দিব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।