২৮ মার্চ, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৭ রমজান, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় পাহাড় চাপা পড়ে রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু   ●  স্বদেশ ফিরতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ   ●  মহাসড়কে ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার   ●  কক্সবাজারে হাফেজ মুশফিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রলীগ   ●  রামুতে এক ঘন্টার ব্যবধানে স্কুল ছাত্রসহ হতাহত চার   ●  সুগন্ধা পয়েন্টের লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা   ●  সাংবাদিক রাশেদুল মজিদের উপর পুলিশের হামলা, এক সদস্যের তদন্ত কমিটি   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের ‘আসকারায়’ যত্রতত্র পার্কিং, কোটি টাকার বাণিজ্য   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম-দূর্নীতি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি   ●  ড্রাইভিং পেশায় মহিলাদের সুযোগ দিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন ও সিএনআরএস

টেকনাফ দক্ষিণ ডেইল পাড়ায় পুরাতন রোহিঙ্গা পরিবার এখন ইয়াবার ডিলার শফিক ও মনজুর ধরা ছোঁয়ার বাইরে”

টেকনাফ প্রতিনিধি:

পুরাতন রোহিঙ্গা পরিবার গোপনে ইয়াবা ব্যবসা, স্বর্ণ পাচার করে হঠাৎ লাখপতি নয় বরং কোটিপতি হয়েছে টেকনাফ দক্ষিণ ডেইল পাড়ার পুরাতন রোহিঙ্গা নুর আলমের পরিবার।

এমন অনেক প্রমাণ গ্রামে গ্রামে।রোহিঙ্গাদের খুঁটির জোর ও তাদের আধিপত্য প্রভাব কতটুকু সেটা টেকনাফের অধিবাসীরা ভাল করেই জানে, যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করে বা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় থাকে। একদিকে রোহিঙ্গাদের আশেপাশের সব এলাকাই এখন রোহিঙ্গাদের দখলে, মালিকরা সেখানে ধারে কাছেও যেতেপারেনা। অন্যদিকে পুরাতন রোহিঙ্গারা নতুন রোহিঙ্গারাদের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসা ও অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

দক্ষিন ডেইল পাড়ার স্থানীয় যুবকরা জানান,,
নুরুল আলম আগেই সাবরাং ইউনিয়নে ছিল সেই দক্ষিণ ডেইল পাড়া বসবাস করতেছে বিগত পাঁচ ছয় বছর হবে। এখন আমরা শুনতেছি নুর আলম নাকি অন্য নাম দিয়ে আইড়ি কার্ড ও করছ। আমাদের চোখের আড়ালে তারা দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।গত ৯ জুন নুর আলমের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও স্বর্ণসহ নুরুল আলমকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫। সেই দিন থেকেই আমরা জানতে পারি এরা তলে তলে তলে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের এখন প্রচুর জমি ও দুইটি দোকান রয়েছে। তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে নুরুল আলমের ‌‌দুইছেলে এরাই মূল নায়ক ইয়াবার।

তেমনি অল্প সময়ে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া নুরুল আলম আটক হলেও দুই ছেলে আজ ও আটক হয়নি। তাদেরকে আটক করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ ‌‌শফিক ও মনজুর আলম ওপেন ঘুরে বেড়াচ্ছে।তার বাবার পেশায় একজন খুচড়া মাছ ব্যবসায়ী। অল্পতেই বিলাসবহুল গাড়িসহ মোটরসাইকেল নিয়ে চলাফেরা করে।

অভিযোগ আছে শফিক ও মনজুর রহমানের
নামে একটা গ্যাং ও আছে সাথে ইয়াবা, চোরাচালান ও স্বর্ণের বারসহ আদম পাচার থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে অবৈধ ধরনের ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছে, এবং ইয়াবার জন্য বর্ডার ক্রসে গেলে তার সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাল উঠে নিয়ে চলে আসেন। মনজুর রহমান এখন একজন শিল্পপতি তার গাড়ি থেকে শুরু করে দোকানপাট ইতিমধ্যে অনেক কিছু করে ফেলছে।

জানা যায় ,মিয়ানমার থেকে তাদের জন্য ইয়াবা পাঠিয়ে দেন। ইয়াবা গুলো সিন্ডিকেট আকারে বিক্রি করতে থাকেন আস্তে আস্তে হয়ে যান কোটি কোটি টাকা। তার কয়েকটি বাহিনী যার সবকিছু মায়ানমার থেকে আগত। তার সিন্ডিকেটের মুল নায়ক শফিক সিন্ডিকেট তারা মিনিমাম ৫ ডজন লোক আছে।

টেকনাফ দক্ষিণ ডেইল পাড়ার অনেক লোক দারিদ্রতার কারণে তাদের কাছে জিম্মি হয়ে যায় সেই দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকেই ইয়াবা পাচার দিয়ে পাঠিয়ে দেন ঢাকা, কক্সবাজার, বর্তমানে অনেকে কারাগারে বন্দি অবস্থায় রয়েছে।মেজর রাশেদ মোহাম্মদ সিনহার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশের তৎপরতা কমে গেলে, নুর আলমের ব্যবসা আরও জমজমাট হয়ে যায় অবশেষে নুরুল আলম আটক করা হলেও তার অবৈধ ব্যবসার অধিনায়ক দুই ছেলে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।যার ফলে খোলামেলাভাবে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।

এই ব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন আমরা সঠিক তথ্য এবং অভিযোগ পেলে সাথে সাথে একশ্যান নিব।

উল্লেখ্য;;; গত ৮ জুন র‍্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের সদস্যরা ৫৭ ভরি স্বর্ণের ৪টি বার, ৩২ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট এবং সাড়ে ৪ লক্ষ নগদ টাকা সহ মনজুর রহমানের বাবা নুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছেন।

র‍্যাব অধিনায়ক আরো জানান, একত্রে ইয়াবা, স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। আটক ইয়াবা কারবারী নুরুল আলম বিরুদ্ধে আগেও ইয়াবা কারবারের মামলা রয়েছে।

ইয়াবা কারবারী নুরুল আলম সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেটের সদস্য তার আরো সিন্ডিকেট রয়েছে।এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলাটি র‍্যাব-১৫ তদন্তের দায়িত্ব নিচ্ছে বলে অধিনায়ক জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।