১৩ মে, ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের

টেকনাফে হামলায় একই পরিবারের তিন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়ায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নয়াপাড়া ক্যাম্পের আই ব্লকের এক নম্বর রুমে সশস্ত্র হামলায় তারা গুলিবিদ্ধ হন।

এ তিনজন হলেন- ১ নম্বর রুমের হোসেন আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০) ও ছেলে হোসেন জোহার (১৬)। আজিজুল হক আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে খবর ছড়ানো হয়েছে।

নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. গোলাম আজম জানান, নয়াপাড়া ক্যাম্পে ডাকাতি এবং গুলি হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের একই পরিবারের তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ডাকাত আব্দুল হাকিম বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড নুরুল আলম ও মোহাম্মদ সাদেকের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় ক্যাম্পের আই ব্লকের বাসিন্দা আজিজুল হকের ঘরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজন চিৎকার শুরু করলে অস্ত্রধারীরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।

তখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে হামলাকারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতরে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের একেক জনের দেহে দুই-তিনটি গুলি বিদ্ধ হওয়ার চিহ্নও রয়েছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, গুলিবিদ্ধ আজিজুল হক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করেন বলে এলাকায় ছড়ানো হয়েছে। সেজন্য সন্ত্রাসীরা আজিজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এরই জের ধরে হামলার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।