২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

জনকণ্ঠের প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানববন্ধন


জনকন্ঠ পত্রিকায় গত ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সকল বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বিহার নিয়ে মিথ্যাচার, গৌতম বুদ্ধকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে কক্সবাজারের রামুতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এসময় তাঁরা ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ফিরোজ মান্না’র শাস্তির দাবি জানান। গতকাল রোববার বিকেলে রামুর চৌমূহনী চত্তরে রামু বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদ এই কর্মসূচী পালন করেন।
পরিষদের সভাপতি ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন রাংকুট বনাশ্রম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত জ্যোতিসেন থের, মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়–য়া, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তপন মল্লিক, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেড়ারেশন রামু শাখার সহসভাপতি দুলাল বড়–য়া, রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের আহবায়ক রজত বড়–য়া রিকু, কক্সবাজার সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক রবীন্দ্রনাথ বড়–য়া, জগদ্বীশ বড়–য়া পার্থ, এমইউপি সদস্য রিটন বড়–য়া প্রমূখ। সভা সঞ্চালনা করেন বিপুল বড়–য়া আব্বু।
এসময় লিখিত বক্তব্যে রামু বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, ‘জনকন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত ফিরোজ মান্না’র মিথ্যাচারে ভরা এই রিপোর্টটি পড়লে সহজেই বুঝা যায় যে তিনি তার সমস্ত ক্ষোভ, প্রতিহিংসা ঢেলেছেন তার এই প্রতিবেদনে। জানিনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, বৌদ্ধধর্ম এবং এর প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের উপর তার কেন এত ক্ষোভ! পার্বত্য চট্রগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটিসহ সারাদেশের সব বৌদ্ধ বিহার নিয়ে তিনি যে প্রতিবেদন করেছেন তার যদি বিন্দুমাত্রও সত্যতা থেকে থাকে তাহলে তিনি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তা প্রচার করতে পারেন। এটা তার অধিকার এবং পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হলে তথ্য-উপাত্ত এবং প্রমাণের ভিত্তিতে এর বিরদ্ধে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু তিনি মহামতি বুদ্ধকে ‘সন্ত্রাসী’ বলতে পারেননা। তাছাড়া তিনি যে অভিযোগ তুললেন এর ভিত্তি কি? ফিরোজ মান্না তার সমগ্র প্রতিবেদনে বুদ্ধ, বৌদ্ধ ধর্ম এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ে মানহানিকর এবং অবমাননাকর বিভিন্ন কথা লিখেছেন। আজ থেকে আড়াই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে জীব ও জগতের কল্যাণে জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামতি গৌতম বুদ্ধ। ভারতবর্ষে জন্ম নেওয়া এই মহাপুরুষের সর্বজনীন বাণী কালে বিশ্বময় ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের মাটি খনন করলে আজও হাজার হাজার বছরের পুরানো বৌদ্ধ পুরাকীর্তি পাওয়া যায়। চর্যাপদকে বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন বলা হয়। সেই চর্যাপদের জনক তথাগত গৌতম বুদ্ধ। বাংলার আদি সভ্যতা, কৃষ্টি এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সাথে গৌতম বুদ্ধের যে নাড়ির সম্পর্ক আছে তা ইতিহাস সচেতন ব্যক্তি মাত্রেই অবগত আছেন। যিনি আজীবন শান্তি আর সম্প্রীতির কথা বলে গেছেন আজকে তাঁকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ হতে পারেনা। জনকন্ঠের মত একটি পত্রিকা কোন ধর্মের চরম অবমাননাকর এবং চরম স্বেচ্ছাচারিতাদুষ্ট এই প্রতিবেদন কোন ধরণের সম্পাদনা ছাড়া-ই প্রকাশ করল! নাকি কর্তৃপক্ষ জনাব ফিরোজ মান্না’র এই প্রতিবেদনের দায়িত্ব নিয়ে এমন গর্হিত প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাপল? জনকন্ঠের মত একটি জাতীয় দৈনিকের কাছে আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। আমরা ধর্মের চরম অবমাননাকর এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে ফিরোজ মান্না’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই এবং জনকন্ঠ পত্রিকার কর্তৃপক্ষের প্রতি গর্হিত এই প্রতিবেদন প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।