২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ

চকরিয়া-পেকুয়ার ২৩ বৌদ্ধ পল্লীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক পাহারা

Policeকক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ার ২৩টি বৌদ্ধ পল্লীতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিহার ও মন্দিরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক পাহারা বসিয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলায় ১১টি মন্দির ও ১১টি বিহার এবং পেকুয়ায় ১টি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। এর মধ্যে চকরিয়ার হারবাংয়ে ৫টি বড়ূয়াদের মন্দির ও ৫টি বৌদ্ধ বিহার, সুরাজপুর-মানিকপুরে বড়ূয়াদের ২টি মন্দির ও ৪টি বৌদ্ধ বিহার, বমুবিলছড়িতে বড়ূয়াদের ২টি মন্দির ও রাখাইনদের ১টি বৌদ্ধ বিহার এবং ফাঁসিয়াখালীতে ১টি বড়ূয়াদের মন্দির রয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার বুড়ি পুকুরে বড়ূয়াদের ১টি মন্দির ও মগবাজারে রাখাইনদের ১টি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি ও ক্ষদ্র নৃ-গোষ্টির প্রতিনিধি মাষ্টার মংয়াই রাখাইন বলেন, সম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের ঘটনায় আমরা খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। প্রশাসন সেই তা দূর করেছে। তারা দিন-রাত কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মন্দির ও বিহারগুলোতে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারও সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। ফলে, বর্তমানে চিন্তামুক্ত রয়েছি বলে জানান তিনি।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন,চকরিয়ার ২২টি বৌদ্ধ মন্দির ও বিহারে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মন্দির ও বিহারে একজন করে এসআই এর নেতৃত্বে পুলিশ সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন ধরনের ঘটনা এড়াতে ২টি পুলিশের মোবাইল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, পেকুয়ার বারবাকিয়ায় ১টি মন্দির রয়েছে। মন্দির ও বিহারের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনদের ভয়ভীতি দূর করতে পুলিশ ওই এলাকায় সচেতনতামূলক সভাও করেছে। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহাবুবউল করিম বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি বৌদ্ধ মন্দির ও বিহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যেকোন ধরনের ঘটনা এড়াতে পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে সহজে এ্যাকশনে যেতে পারে সেজন্য প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এব্যাপারে সর্তক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।