২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ

চকরিয়ায় স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করলো প্রশাসন : বাবা গ্রেপ্তার

চকরিয়ায় পঞ্চম শ্রেনীর পিইসি পরীক্ষায় নেয়া শিশুকে বাল্য বিয়ের কবল থেকে উদ্ধার করলেন প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার ভুমি মো.মাহাবুব-উল করিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ওই শিশু ছাত্রীর বিয়েটি বন্ধ করে দেন। ঘটনায় জড়িত শিশুটির বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে আদালত।

অভিযানে আদালতের সাথে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া থানার এসআই আবদুল খালেকসহ একদল পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডে আদালত এ অভিযানটি পরিচালনা করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসি জানায়, নলকুপ মেস্ত্রী মীর কাশেম ও গৃহিনী জেসমিন আক্তারের বড় মেয়ে মর্জিনা খানম। বয়স মাত্র ১১। উত্তর পহরচাঁদা হাকিমিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য সমাপ্ত পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকে মর্জিনা।

প্রতিবেশিরা জানান, পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে লামা উপজেলার বসবাসরত বেলাল উদ্দিনের ছেলে রাজমেস্ত্রী লাভু’র সাথে পরিচয় হয় মীর কাশেমের। পরে লাভুর সাথে নিজের শিশু মেয়ে মর্জিনার বিয়ের ঠিক করেন তিনি।

সোমবার রাতে অনেকটা ধুমধাম করে মেহেদী অনুষ্ঠান করে দুই পরিবার। মঙ্গলবার মীর কাশেমের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হয়।

আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহাবুবউল করিম বলেন, উপজেলার বরইতলীতে মর্জিনা খানম নামের এক শিশু ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।

এসময় চার ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে মেয়ের বাবা মীর কাশেম উপস্থিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করে ওই চারজনকে ছেড়ে দিই। অপ্রাপ্ত মেয়েকে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নিয়ে মা জেসমিন আক্তারের জিম্মায় দিই।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।