১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে দুর্বৃত্তদের তাণ্ডব

হামলাকক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পূর্ব নুনাছড়ি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সওদাগরের বাড়িতে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে হামলা, তাণ্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় এবং পুত্রকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে আলমিরা ভেঙে নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এর আগেই সন্ত্রাসীরা মালামাল নিয়ে চম্পট দেয় বলেও জানা গেছে।

আহতরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫), পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৩৫)। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরানুল ইসলাম মিরান জানান, চাঁদা না পেয়ে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। এরপর বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশকে জানালে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আক্রান্ত পরিবারের সদস্যসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বাবু, বোরহান, রাশেদ, আরিফ, মনিক্কাসহ একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরিবার সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে থাকা মহিলা মমতাজ বেগম ও তার পুত্র গিয়াস উদ্দিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আলমিরা ভেঙে নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেয় তারা।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে কেউ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এ ধরণের কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে থাকলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।