২০ এপ্রিল, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   ●  জলকেলি উৎসবের বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব   ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা   ●  ‘বনকর্মীদের শোকের মাঝেও স্বস্তি, হত্যার ‘পরিকল্পনাকারি কামালসহ গ্রেপ্তার আরও ২   ●  উখিয়া নাগরিক পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   ●  আদালতে ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার দায়স্বীকার সেই ডাম্পার চালক বাপ্পির   ●  ‘অভিযানে ক্ষুব্ধ, ফরেস্টার সাজ্জাদকে পূর্বপরিকল্পনায় হত্যা করা হয়’   ●  ফাঁসিয়াখালীতে পৃথক অভিযানে জবর দখল উচ্ছেদ, বালিবাহী ডাম্পার জব্দ   ●  অসহায়দের পাশে ‘রাবেয়া আলী ফাউন্ডেশন’   ●  ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার মূল ঘাতক সেই বাপ্পী পুলিশের জালে

গাজীপুরের ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি বাটপার কাশেম টেকনাফে আটক

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফে গাজীপুরের এক এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার প্রধান আসামীকে আটক করেছে বিজিবি।সেই যুগান্তরের প্রতিনিধি ও ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি আবুল কাশেম ওরফে কাইশ্যা।

(১৮ জুলাই)রোববার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং চেকপোস্টে বর্ডার গর্ড ব্যাটালিয়ান-২ সদস্যরা তাকে আটক করার পর টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। সিগনাল অমান্য করে পালানোর চেষ্টা ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার কারণে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।

জয়দেবপুর থানার একটি ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে ওই থানায় হস্তান্তর করার কথা। আবুল কাশেম গাজীপুরে যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে বলে পুলিশ ও বিজিবির কাছে স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বন আইন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে।

বিজিবি ও টেকনাফ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আবুল কাশেমের পিতার নাম আবু সামা। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্ষং এর ঝিমং হলেও থাকে গাজীপুরে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে প্রাইভেট কারের আগে পিছে যুগান্তরের লোগো লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াত। কিছু দিন আগে তিন অজ্ঞাত তরুণীসহ বিজিবি তাকে আটক করলেও পরে সে ক্ষমা চেয়ে বিজিবির হাত থেকে ছাড়া পায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সর্বশেষ (১৮ জুলাই) রোববার সন্ধ্যায় আবারও সে ওই রুটে যুগান্তরের লোগো লাগানো প্রাইভেট কার নিয়ে হোয়াইক্যং চেকপোস্টে পার হওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা তাকে সিগন্যাল দেয়। সিগন্যাল অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবির সন্দেহ হয়। পালানোর চেষ্টা কেন করছিল তা জানতে চাইলে সে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকে। সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি ধামকিপ্রদান করে। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে।

বিজিবি ও পুলিশ খোঁজ -খবর নিয়ে জানতে পারে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা, গাছ কাটার মামলা, চাঁদাবাজির মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। পরে তাকে টেকনাফ থানা পুলশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। টেকনাফ থানা পুলিশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার (মামলার নম্বর: ১৮, ২০/০৬/২০২১) প্রধান আসামি হিসেবে আবুল কাশেম ওরফে রোহিঙ্গা কাশেমকে (১৯ জুলাই)সোমবার কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফয়সল হাসান খাঁন জানান,টেকনাফ মহাসড়কে হোয়াইক্যং সড়ক তল্লাশী চৌকিতে একটি প্রাইভেট কার তল্লাশী করতে চাইলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিজিবি সদস্যদের বাঁধা দেয়। এসময় তার আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে গাজীপুর জয়দেবপুর থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে। যার মামলা নং (১৮/২১)। আইনী প্রক্রিয়া মতে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, আবুল কাশেম সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর, টেকনাফ চকরিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যুগান্তর প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে বা চাকরি দিয়ে অপেশাদার, আন্ডারগ্রাউন্ড ও ভুঁইফোঁড় পত্রিকার লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।