১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

কামারুজ্জামানের রায়ে বিচারপতিদের স্বাক্ষর

কামারুজ্জামানের রায়ে বিচারপতিদের স্বাক্ষর মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান বিচারপতিসহ চার বিচারপতি।

বুধবার দুপুরে তারা ৩৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেন বলে আদালত সূত্র জানায়।

জানা যায়, রায়ের চূড়ান্ত কপিতে ক্রমান্বয়ে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা ও সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর রায়ের কপি সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এরপর তা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপর শুরু হবে কামারুজ্জামনের ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া। রায়ের কপি এ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও আসামিপক্ষের আইনজীবীকেও পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রায়ের খসড়া লিখে শেষ করেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে সেটি প্রধান বিচারপতিসহ অন্য তিন বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। বিচারপতিরা রায়ের খসড়া অনুমোদনের পর বুধবার সকালে সেটি চূড়ান্ত করা হয়।

সোমবার (৬ এপ্রিল) রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে কামারুজ্জামানের করা আবেদন আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।

এর আগে, গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল মামলার চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। মোট ৭০৫ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বাতিল ও তার খালাস চেয়েছেন আসামিপক্ষ।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির একই বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেন। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ তিন বিচারপতি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন। অন্য দুই বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম।

এরপর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মুস্তাফিজুর রহমান মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আইজিপি (প্রিজন) এর বরাবরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান। পরে কারাগারে কামারুজ্জামানকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কামারুজ্জামানকে ২০১৩ সালের ৯ মে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এরপর গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।