২১ মে, ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

কামারুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন

Kamaruzzaman

  মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জমানের দাফন রবিবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে। কামারুজ্জামানকে শেরপুরের বাজিতখিলা গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার পাশে দাফন করা হয়েছে।তার ভাগ্নি জামাই মাওলানা আব্দুল হামিদ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তার জানাজা পড়ান। জানাজায় আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীসহ অর্ধশতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। যদিও কোনো সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সরকারের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আধা কিলোমিটার আগে বাজিতখিলা বাজারেই আটকে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শেরপুর সদর নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান হাবিব তার ছোট ভাই কফিল উদ্দিনকে ৪টা ২৫ মিনিটে কামারুজ্জামানের লাশ হস্তান্তর করেন।

জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন দ্য রিপোর্টকে এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ভোর ৪টা ১৯ মিনিটে তার লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি শেরপুরে পৌঁছে। রাত ১১টা ৩৬ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি শেরপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।

এ্যাম্বুলেন্সের নিরাপত্তার জন্য আগে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (র‌্যাব ও পুলিশ) ১০টি করে গাড়ি ছিল। গাড়ি বহরে একটি অতিরিক্ত এ্যাম্বুলেন্সও ছিল। দ্বিতীয় এ্যাম্বুলেন্সে (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১-১২০৬) লাশটি বহন করা হচ্ছিল।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করেন নির্ধারিত জল্লাদরা।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টা ১৮ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চের কাছে যান প্রতিনিধি দল। এরপর ১০টা ৩০ মিনিটে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।’

ঢাকা জেল সুপারের উপস্থিতিতে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার হাতে থাকা লাল রুমাল মাটিতে ফেলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদরা ফাঁসি কার্যকর করেন। এর আগে কামারুজ্জামানের মুখ কালো কাপড় ও মাথা কালো টুপি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর ফাঁসির দড়িটি তার গলার জড়িয়ে দেওয়া হয়।

ফাঁসির দড়িতে দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকার পর কামারুজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে দড়ি থেকে নামানো হয়। এরপর দায়িত্বরত সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা ঘাড়, হাত ও পায়ের রগ কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।