২৯ মার্চ, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় পাহাড় চাপা পড়ে রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু   ●  স্বদেশ ফিরতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ   ●  মহাসড়কে ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার   ●  কক্সবাজারে হাফেজ মুশফিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রলীগ   ●  রামুতে এক ঘন্টার ব্যবধানে স্কুল ছাত্রসহ হতাহত চার   ●  সুগন্ধা পয়েন্টের লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা   ●  সাংবাদিক রাশেদুল মজিদের উপর পুলিশের হামলা, এক সদস্যের তদন্ত কমিটি   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের ‘আসকারায়’ যত্রতত্র পার্কিং, কোটি টাকার বাণিজ্য   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম-দূর্নীতি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি   ●  ড্রাইভিং পেশায় মহিলাদের সুযোগ দিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন ও সিএনআরএস

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

 
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ। শোষিত-বঞ্চিত বাঙালির ঘুরে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেদিনের অগ্নিঝরা ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো, দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বান উল্কাবেগে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। স্বাধীনতার স্বপ্নে জেগে ওঠে পুরো জাতি। ক্ষেত্র প্রস্তুত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের। বাঙালির স্বাধীনতার প্রস্তুতির এ সময়ে ২৫শে মার্চ কাল রাতে নেমে আসে পাকিস্তানিদের বর্বর আঘাত। হানাদারদের পৈশাচিক গণহত্যা আর অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে দামাল বাঙালি হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশের মানুষ। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত সবখানে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ৩০ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অবশেষে আসে সেই কাঙিক্ষত স্বাধীনতা। এদিকে ৭ই মার্চ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোর ৬-৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায়    বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বিকাল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ গৃহীত কর্মসূচি দেশবাসীর সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং জাতীয় পত্রিকাসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।