১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’

উন্নয়ন বঞ্চিত ঈদগাঁও বাজার

shomoy
চলতি বছর প্রায় বহু লাখ টাকায় ইজারা হওয়া “ঈদগাঁও বাজার” এবার উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে তো ? এ জিজ্ঞাসা সচেতন বাজারবাসীর। ইজারাদারের সুদৃষ্টি ও কমিউনিটি পুলিশি সিস্টেম চালু হলে উন্নয়ন সম্ভব বলে অভিজ্ঞজনের অভিমত। কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাও বাজার। এবার নিলাম ডাক হয়েছে বহু লাখ টাকায়। সদর উপজেলার ঈদগাও ও জালালাবাদ এবং অংশবিশেষ ইসলামাবাদ ইউনিয়ন নিয়েই অবস্থিত। প্রাচীন কাল হতেই সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দু’দিন হাট বসে । হাটের দিনগুলোতে বৃহত্তর ঈদগাওর পার্শ্ববর্তী রামু, চকোরিয়া ও পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পন্য সহ নানান ধরনের পণ্য নিয়ে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসেন। কিন্তু বেচা বিক্রির স্থান হয় বাজারের অভ্যন্তরীন রাস্তাগুলোতে। বাজারে আগত ক্রেতাসাধারনের হাঁটা চলার কোন স্বাভাবিক পরিবেশ থাকেনা। এমনকি দোকানগুলোও ক্ষণিকের জন্য উপ-ভাড়া দিয়ে দৈনিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত থাকে। তাছাড়া আগেভাগেই দোকানের অংশবিশেষ বাড়িয়ে রাস্তাও দখল করে রাখে। মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্ট চালানো হলে কয়েকদিনের জন্য ভালো মানুষ হয়ে যায় অসাধু ব্যবসায়ীরা। পরে আবার পূর্বের কায়দায় ফিরে যায়। বিগত ২০০৮ সাল হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালু ছিল। মরিচ বাজারে একটি অফিস নিয়ে কমিটির কাজ শুরু হয়। সভাপতি হিসেবে ঈদগাওর সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী এবং সেক্রেটারী হিসেবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উত্তম রায় পুলক দায়িত্বে ছিলেন। কমিটিতে ব্যবসায়ী দোকানদারসহ  বিভিন্ন স্তরের সুশীল সমাজের নের্তৃবৃন্দ ছিলেন। তখনকার সময়ে বাজারের অলিগলি প্রশস্ত, স্বাভাবিক চলাফেরার পরিবেশ সৃষ্টি সহ চুরি ডাকাতি ও যানজট বলতে গেলে নিয়ন্ত্রনে ছিল। সময়ের চক্রে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রমে নেমে আনে স্তবিরতা। ফলে নিয়ন্ত্রনহীনতায় চলে যায় সব কিছু। বাজারবাসী আশা করেন  যে, এবার নিলাম ডাকের পর পরিবর্তন হবে বাজারের চেহারা। যুগ যুগ ধরে অত্যন্ত আবশ্যকীয় পাবলিক টয়লেট ও  সুষ্টু ড্রেনেজ সিষ্টেমের অভাব, মাছ ও তরকারী বাজারের পঁচা দূর্গন্ধ পরিবেশ এখনো বিদ্যমান। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের মতে, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বহাল রেখে বাজার ইজারাদার ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বাজারকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন, যাজটমুক্ত ও চুরি ডাকাতি মূক্ত করে তোলা সম্ভব। অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইবরাহিম এ প্রতিনিধিকে জানান, বাজারের রাস্তাঘাট যথাযথ উন্নয়ন না হওয়ার কারনে নিয়মিতভাবে মানুষের স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে যত্রতত্র স্থানে দোকান বসিয়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়ে বাজার কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শকের মতে, আইন শৃঙ্খলার জন্য পুলিশ কাজ করছে। বাজারের উন্নয়নে ইজারাদারের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম অনেকটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।