২৯ মার্চ, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্যাতিত ও কারাবরণকারি ৫ শতাধিক নেতা কর্মীকে সংবর্ধিত করল জেলা বিএনপি   ●  উখিয়ায় পাহাড় চাপা পড়ে রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু   ●  স্বদেশ ফিরতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ   ●  মহাসড়কে ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার   ●  কক্সবাজারে হাফেজ মুশফিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রলীগ   ●  রামুতে এক ঘন্টার ব্যবধানে স্কুল ছাত্রসহ হতাহত চার   ●  সুগন্ধা পয়েন্টের লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা   ●  সাংবাদিক রাশেদুল মজিদের উপর পুলিশের হামলা, এক সদস্যের তদন্ত কমিটি   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের ‘আসকারায়’ যত্রতত্র পার্কিং, কোটি টাকার বাণিজ্য   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম-দূর্নীতি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি

উখিয়া হাসপাতালের টেন্ডার নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা

shomoy
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পথ্য সরবরাহের টেন্ডার নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ৭/৮ জনের একদল ঠিকাদার হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পুন:টেন্ডার আহ্বানের দাবী জানিয়ে কতিপয় কর্মচারীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রতি বছর বছর গোপনে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে হাসপাতালের অফিস সহকারি ফরিদ আহমদ ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে নিয়োজিত নুরুল আলম ঐশী এন্টারপ্রাইজের নাম ভাঙ্গিয়ে পথ্য সরবরাহের ঠিকাদারী হাতিয়ে নিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা লুটপাট করে আসছিল। হাসপাতালের তালিকাভূক্ত ঠিকাদার গয়ালমারা গ্রামের ফরিদুল আলম অভিযোগ করে জানান, চলতি অর্থ বছরে পথ্য সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করে গোপনে টেন্ডার হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সিভিল সার্জন বরাবরে অভিযোগ করা হয়। এঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত টেন্ডার স্থগিত করার নাম ভাঙ্গিয়ে গোপনে তাদের পছন্দের লোকজনকে পথ্য সরবরাহের কার্যাদেশ দিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঠিকাদার ও রতœাপালং ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর প্রতিবাদ করে জানান, পুন: টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে সর্বনিু দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া না হলে অফিস সহকারি ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টরকে এ হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়ে অন্যত্রে চলে যেতে হবে। তাদের কারণে হাসপাতালে সার্বিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমানসহ ১০/১২ জন ঠিকাদার প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রবিউর রহমান রবি জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছেন। তাই এব্যাপারে তিনি কিছু মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে অভিযুক্ত অফিস সহকারি ফরিদ আহমদ বিগত অর্থ বছরে হাসপাতালে পথ্য সরবরাহের কথা স্বীকার করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তার নয় বলে দাবী করেন। এব্যাপারে জানতে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মখলেছূর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সিভিল সার্জন অফিসের একজন কর্মচারী পুন: টেন্ডার আহ্বানের কথাটি নিশ্চিত করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।