৫ মে, ২০২৪ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা   ●  কুতুবদিয়ায় সুপারডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও পারাপারে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী   ●  ‘সবাইকে ভালোর দিকে ছুটতে  হবে, খারাপের দিকে নয়’

উখিয়ায় ১৯ শয্যার সম্প্রসারিত হাসপাতাল ভবন তালাবদ্ধ ৩ বছর

SAMSUNG CAMERA PICTURES
উখিয়ার ১৯ শয্যার সম্প্রসারিত হাসপাতাল ভবনটি তালাবদ্ধ রয়েছে ৩ বছর ধরে। ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে গত ২০১২ সালের ২ জুলাই সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি ১৯ শয্যার সম্প্রসারিত এ ভবনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করলেও অজ্ঞাত কারণ বশত: তালাবদ্ধ থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম নিয়ে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার দিকে হাসপাতাল ঘুরে কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায, হাসপাতালের একাংশে রোগীদের টিকেট সরবরাহ ছাড়া অন্য কোন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে না। জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মোঃ ফিরোজ খান জানান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলেও সে অনুপাতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবল বাড়ানো হয়নি। যে কারণে ৩১ শয্যার আদলে হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ হাসপাতালটি এখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত। হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় হাসপাতালের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ জনগন। রাতের বেলায় অচেনা লোকজনের সন্দেহ জনক ঘুরোফেরা নিয়ে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের কারণে চিকিৎসকেরাও উদ্বিগ্ন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠালগ্নে এ হাসপাতালে যে জনবল, চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিকিৎসা যাত্রা শুরু হয়ে ছিল তার বিন্দু মাত্রও উন্নয়ন হয়নি। উপরোন্তু হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান, বর্তমানে এ হাসপাতালে ডাক্তার আরিফা মেহের, ডা: কমলিকা ও ডা: সায়িকা ও ডা: রাজিব সহ ৪ জন ডাক্তার থাকলেও তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে প্রত্যন্ত জনপদে প্রতিষ্ঠিত ৪টি ক্লিনিকে দায়িত্বপালন করতে হয়। হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী জানান, এ হাসপাতালে ডাক্তারদের বদলি করা হলেও অজ্ঞাত কারণ বশত: তারা প্রায় সময় কর্মস্থলে থাকে না। বেশিরভাগ চিকিৎসক অন্যত্রে বদলি হয়ে যাওয়ার তদবিরে ব্যস্ত থাকে। যে কারণে হাসপাতালের চিকিৎসার সেবার উন্নয়ন হচ্ছে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।