২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ঈদগাঁওতে সোহেল, ইসলামাবাদে রাজ্জাক, ইসলামপুরে দেলোয়ার, জালালাবাদে জনি ও পোকখালীতে রফিক বিজ়য়   ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা

উখিয়ায় বাঙ্গির বাম্পার উৎপাদনেও কৃষকের মনে খুশি নেই

SAMSUNG CAMERA PICTURES
উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত সুস্বাদু রসালো ফল বাঙ্গিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে হাটবাজার। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাঙ্গির ফলন আশাতীত ভাবে বৃদ্ধি পেলেও কৃষকের মনে খুশি নেই। কৃষকেরা বলছে, পাইকারী ব্যবসায়ী বাজারে না আসার কারণে বাঙ্গির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা তারা। এখানে বড় সাইজের একেকটি বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে। দামে কম হওয়ায় নিু ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন স্বাচ্ছন্দে বাঙ্গির স্বাদ নিতে পারছে বলে অনেকেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৪শ’ একর বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কৃষকেরা বলছে, তরমুজ বাঙ্গিতে মিলে প্রায় সাড়ে ৮শ’ একর জমিতে বাঙ্গিতে ও তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ফলনও হয়েছে তুলনামূলক ভাবে ভাল। মাদারবনিয়া গ্রামের কৃষক আলতাজ আহমদ জানান, হরতাল অবরোধের কারণে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার পাইকারী ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জে আসতে না পারায় তাদের উৎপাদিত বাঙ্গি স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রি করতে হয়েছে। যে কারণে বাঙ্গির ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। একই গ্রামের আরেক বাঙ্গি চাষী নজুমিয়া জানান, বাঙ্গির ফলন ভাল হওয়ার কারণে ন্যায্য মূল্য পাওয়া না গেলেও লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, শুধু চরাঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বাঙ্গি-তরমুজ খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। উখিয়ার ভাসমান বাঙ্গির হাটবাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে যে বাঙ্গি দেড়শ টাকায় বিক্রি হয়েছে একই বাঙ্গি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে বাঙ্গি বিক্রির সুবাদে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলেও সবশ্রেণির পেশার মানুষ কম দামে বাঙ্গি কিনতে পেরে খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, আশাতীত বৃষ্টি না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তরমুজ-বাঙ্গির বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণের পরেও উৎপাদিত বাঙ্গি তরমুজ জেলার বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।