১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা

উখিয়ায় অর্ধ-শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই

10253224_611885148880160_591257189_n

উখিয়া সদর এলাকার আশেপাশে সহ প্রত্যন্ত জনপদে অর্ধ-শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা না থাকায় কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের প্রচন্ড গরমে অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে শিক্ষকদের অভিযোগ। বিদ্যুৎহীন বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য শিক্ষকেরা পল¬ী বিদ্যুতের নিকট আবেদন করার পরও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
জানা গেছে, এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেসব বিদ্যালয় অবকাঠামোগত অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তথাপিয়; পড়ালেখার গুনগতমান নিয়ে জেলার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে কিছু কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার করা হলেও আসবাবপত্রের অভাবে একাধিক প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করছে স্কুল মাঠে অথবা বারান্দায়। শিক্ষকদের অভিযোগ টিনের ছাউনীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ছাত্রছাত্রী প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছটপট করতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় পড়ালেখা বা পাঠদানের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না।
লম্বাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আহমদ জানান, তার বিদ্যালয়ের আশে পাশে কোন গাছগাছালি না থাকায় স্বাভাবিক গরমের চাইতে টিনের ছাউনি তাপমাত্রায় ছাত্রছাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য পল¬ী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হলে সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তা ওই আবেদনের উপর শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশ নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায় শিক্ষা কর্মকর্তা সুপারিশ নিতে গেলে শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাফ্ফর আহমদ আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এভাবে প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পল¬ী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম ভুইঁয়া বিদ্যুৎ সমস্যার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা ওই আবেদনে স্বাক্ষর না করার বিষয়টি আমার জানা নেই। পল¬ী বিদ্যুতের ডিজিএম নুর হোসেন জানান, আবেদনে অবশ্যই শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশ প্রয়োজন রয়েছে বিধায় শিক্ষকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ফাইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।