১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস চালু করা এখন সময়ের দাবী


উখিয়ার বহুল প্রতিক্ষিত ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চালু করা এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়ে। যাহা সম্প্রতি কোটবাজার দক্ষিন ষ্টেশনে ভায়াবহ অগ্নিকান্ডে ২০ ছোট- বড় বাড়ি ও দোকান পুড়ে এক নারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এবং গত ২৮ জানুয়ারী রত্না পালং পুর্ব রত্না মৈত্রী বিহার বৌদ্ব মন্দিরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সম্পুর্ন ভস্মিভুত হওয়ার পর এ দাবী আরো জোরালো হয়ে উঠেছে। 
বাংলাদেশ সরকারের গহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গত ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে উখিয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে না পারায় ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উখিয়ায় সফরে এসেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উখিয়াবাসীর স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস উদ্বোধন করতে পারেননি। এ সময় উখিয়ায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের সময় উখিয়া ফায়ার সার্ভিসও উদ্বোধনের কথা ছিল।
উল্লেখ্য উখিয়া টেকনাফ উপজেলায় যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন কারন বসত আগুনের সুত্রপাত হলে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো, দুই উপজেলার গন মানুষের প্রানের দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে সংসদ আবদুর রহমান বদি একান্ত প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে বর্তমান সরকার উখিয়া-টেকনাফের জন্য ২ টি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন বরাদ্ব দেয়। 
দুই উপজেলায় একই বছর শুরু হওয়া ফায়ার সার্ভিসের সুফল টেকনাফ উপজেলা বাসী প্রায় ২ বছর আগে থেকে ভোগ করে আসলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাস উখিয়া উপজেলার জনগন এখনো পর্যন্ত রয়েছে বঞ্চিত। 

গত শনিবার পুর্ব রত্না মৈত্রী বিহার বৌদ্ব মন্দিরে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ক্ষোভ করে বলেন, উখিয়া বাজার, মরিচ্যা বাজার, পালংখালী বাজারে অগ্নিকান্ডে ভয়াবহ ক্ষতির পর 

কোটবাজারে ও বৌদ্ব মন্দিরে অগ্নিকান্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো। উক্ত ঘটনা গুলোতে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবী করেন তারা। এছাড়া উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও চালু না হওয়ায় উখিয়ার প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
উখিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমদ সওদাগর  বলেন, ফায়ার সার্ভিস উখিয়ার মানুষের গণদাবী। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও ফায়ার সার্ভিস চালু না হওয়া অর্তান্ত দুঃখ্যজনক,আর কত অগ্নিকান্ড হলে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসেরর কা্র্যক্রম শুরু হবে?
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম মাহাবু বলেন,  পার্শবর্তি উপজেলার জনগন ফায়ার সার্ভিসের সুবিধা ভোগ করে আসলেও আমরা তা থেকে বঞ্চিত রয়েছি অতি শীঘ্রই ফায়ার সার্ভিসে জনবল নিয়োগ করে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসটি চালু করা এখন সময়ের দাবী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।