১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

ইতিহাস গড়া ম্যাচে টাইগারদের রোমাঞ্চকর জয়

খেলাধূলা ডেস্কঃ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব-মুশফিকরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ব্যাটিংয়ে নেমেই। এবার দায়িত্ব ছিল বোলারদের। ফিজ-সাইফরা সুনিপুণ হাতে ২১ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে এনে দিয়ে আনন্দে ভাসালেন ১৬ কোটি বাঙালিকে।

লন্ডনের দ্য ওভালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন মাশরাফীরা। ওয়ানডেতে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩২৯। আর আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগাররা  ৩৩০ রান করেন।

জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে আট উইকেট ৩০৯ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে ডু প্লেসির ব্যাট থেকে। মার্করাআম ৪৫ ও ডুসেন ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। জেপি ডুমিনি বাংলাদেশের হুমকি হয়ে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত পারেননি। ফিজের বলে বোল্ড হয়ে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এ ছাড়া ডেভিড মিলার করেন ৩৮ রান।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়ে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ মুহূর্তে ডুমিনিকে আউট করা ছাড়াও নেন দুটি গুরত্বপূর্ণ উইকেট। সাইফ উদ্দিন নেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী মিরাজ।

টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে  সাকিব-মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর মোসাদ্দেক-মাহমুদুল্লাহর ঝোড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান করেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশ এর আগে মাত্র একবার ৩০০ রান টপকাতে পারে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যন্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান করেছিলেন টাইগাররা।

তামিম-সৌম্য শুভসূচনা এনে দিয়েছিলেন দলকে। তামিম আউট হয়ে গেলে ৬০ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তামিম যাওয়ার অল্পকিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে যান সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। পরপর দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠে সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে। সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। সাকিব আউট হন ৭৫ রান করে।

মাঝে মিথুন বড় ইনিংসের সম্ভবনা দেখিয়ে ফিরে যান ২১ রান করে। তবে সাব্বিরের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক নিজের প্রতি সুবিচার করেন। মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক জুটি গড়ে পরপর তিন উইকেট হারানোর চাপ সামলে ওঠে বাংলাদেশ।

মোসাদ্দেক মাত্র ২০ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও  মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মাত্র ৩৩ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ বলে ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।