১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৬ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

কক্সবাজার পৌর নির্বাচন

মধ্যরাতে কাউন্সিলর প্রার্থীর টাকা বিতরণ; ভিডিও ধারন করায় সংবাদকর্মীর উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা এক সাংবাদিককে মারধর করেছে।

রবিবার রাত ১২ টার দিকে শহরের পাহাড়তলী ৭ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার চৌরাস্তা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরে শিকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও অনলাইন মাল্টিমিডিয়া সিসিএন এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার এর সহ-সভাপতি।

মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মধ্যরাতে আচরণবিধি লংঘন করে প্রচারণা ও টাকা বিতরণের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ওখানে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ নিজের উপস্থিতিতে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের সাথে আলোচনা এবং টাকা বিতরণ করতে দেখা যায়। এ দৃশ্য প্রমাণ সরূপ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে নেন তিনি। এর মধ্যে জামশেদ ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে থেকে সরে সামনের দিকে এগিয়ে এসে তাকে ঘীরে ফেলেন। এর মধ্যে কয়েকজন যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাকে জিম্মি করে জামশেদ হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেন। তারপর ঘটনাস্থলে অন্যান্য মানুষ জড়ো হলে জামশেদসহ ১৫-২০ সর্মথকেরা আমাকে গালিগালাজ ও মারধরসহ লাঞ্ছিত করে। পরে মোবাইল ফোনটি দিয়ে আমাক হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে জামশেদ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।

তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত এজাহার এবং নির্বাচন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার কিছু সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী গোপন বৈঠক করছিলেন তিনি। এসময় একজন প্রার্থীকে সাথে নিয়ে মিজান গিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলেন। তার গোপন বৈঠকে না ডাকার পরও এসে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে নিষেধ করা হয় এবং ধারণ করা ভিডিও ছবি ডিলেট করে দেয়া হয়।

রাত ৮ টার পর প্রচারণা নিষেধের পরও কিসের গোপন বৈঠক এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি জামশেদ। তিনি জানান, মিজান তার প্রতিপক্ষের প্রার্থীর পক্ষে হয়ে এমন ঘটনাটি করেছেন।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবহিত হয়েছেন। মধ্যরাতে প্রার্থী বৈঠক বা গনসংযোগ বিষয়টি সন্দেহজনক। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা সম্পর্কে এখনও লিখিত এজাহার হাতে আসেনি। হাতে আসার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।