১ জানুয়ারি, ২০২৬ | ১৭ পৌষ, ১৪৩২ | ১১ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আ.লীগের বদি’র ক্যাশিয়ার দশবছর পর ফিরলেন বিএনপিতে   ●  অসহায় শিশুদের জন্য শীতকালীন বস্ত্র উপহার দিল স্টুডেন্টস’ প্ল্যাটফর্ম   ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর

টেকনাফে দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ বন্দুকযুদ্ধে নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে হ্নীলা রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতরা হলো—টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার গ্রামের দিল মোহাম্মদ ওরফে ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন ওরফে নূর হাফেজ (৩২) এবং হ্নীলার সাব্বির আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৬)। নূর হাফেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী।

এর আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নিহত এই দুজনসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে ৮ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্রসহ আটক করেছিল র‌্যাব-১৫।

পুলিশ জানায়, আটকের পর নূর হাফেজ ও সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার ভোরে পুলিশের একটি দল হ্নীলা রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছালে তাদের ছিনিয়ে নিতে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশীয় অস্ত্র, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৮টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতাবস্থায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও আনা হয়। তাদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।