৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ২০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৬৯ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যার কথা স্বীকার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইনui170638_174 প্রদেশের গ্রামগুলোতে গত ৫ দিনের হামলায় অন্তত ৬৯ জনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে দেশটি সেনাবাহিনী। নিহতদেরকে তারা সহিংস হামলাকারী বলে বর্ণনা করছে।
রাখাইন প্রদেশে সম্প্রতি শুরু হওয়া বিদ্রোহ দমনের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করছে সেনাবাহিনী।
অবশ্য সেখান থেকে রোহিঙ্গা সূত্রগুলো বলছে, সেনাবাহিনী সেখানে বেসামরিক অধিবাসীদেরকে হত্যার পাশাপাশি ধর্ষণও করেছে এবং গ্রামের পর গ্রাম তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সেনাবাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা সম্ভবত আরো অনেক বেশি। তাছাড়া সহিংসতা সম্পর্কে কর্মকর্তা যে তথ্য দিচ্ছে তা ধাঁধায় পূর্ণ বলেও উল্লেখ করছেন সংবাদদাতা।
গত ৯ অক্টোবর রাখাইনে সীমান্ত চৌকিতে হামলার জের ধরে এই অভিযান শুরু।
ওই এলাকায় সেনাবাহিনী এমনকি হেলিকপ্টার গানশিপও ব্যাবহার করে বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সরকারি স্বীকৃতি নেই এবং এএফপির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সেখানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের যে বিবৃতি ছাপা হয়েছে, সেখানে নিহত রোহিঙ্গাদের ‘বাঙ্গালী’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
সোমবার এ বিষয়ক একটি ফেসবুক পোস্ট দেয়া হয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে, যেখানে তিনি ২৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথাও উল্লেখ করেন।
অভিযানে একজন কমান্ডিং অফিসারসহ ৭ সৈন্য এবং ১০ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হবার কথাও উল্লেখ করা হয়।
এই অভিযান নিয়ে গোড়া থেকেই খুবই গোপনীয়তা বজায় রেখে আসছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
রাখাইন এলাকায় কোন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছিল না এবং ওই এলাকায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের অভিযোগ গোড়া থেকেই অস্বীকার করে আসছে সেনাবাহিনী।
রাখাইন এলাকায় এখন যেসব তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে তাকে মিথ্যে, ভিত্তিহীন এবং অতিরঞ্জিত বলেও বর্ণনা করছে সেনাবাহিনী।
সূত্র : বিবিসি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।