২৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শহর জামায়াতের আলোচনা সভা

 

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর। ২৬ মার্চ রবিবার বিকেলে কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আলহাজ¦ সাইদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক আবুতাহের চৌধুরী, আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ শাহজাহান, জাহেদুল ইসলাম নোমান প্রমূখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও বাংলাদেশের মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পায়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের যে ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে পথ চলার কথা ছিল, স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অনৈক্য ছড়িয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ আজ স্বাধীন বাংলাদেশে একাত্তরের পাকিস্তানী স্বৈরাচারের ভূমিকায়ই অবতীর্ণ হয়েছে। পাকিস্তানী অপশাসকদের মতই একইভাবে স্বৈরাচারী কায়দায় বর্তমান অবৈধ সরকার অস্ত্রের মুখে জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। অপশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে গুম, খুন, গ্রেফতার হতে হচ্ছে। একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের কোন সুযোগই দেয়া হচ্ছে না। অপশাসনের কবলে দেশের সার্বভৌমত্বই আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যান্য আলোচক বৃন্দ বলেন, সরকার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও, তারা আজ সাম্্রাজ্যবাদের ক্রীড়ানক হিসেবেই কাজ করছেন। দেশজ সংস্কৃতির বিকাশে বর্তমান সরকারের কোন উদ্যোগ না থাকলেও সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের পক্ষেই তারা কাজ করছেন। যে চেতনাকে বুকে ধারণ করে একাত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন, দেশের জনগণ সেই চেতনা ধারণ করলেও রাষ্ট্র তা থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে অবস্থান করছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়ই ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় জনগণকে আরো সোচ্চার হতে হবে। তাই আজ গনতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারই হোক স্বাধীনতা দিবসের মূল আঙ্গীকার। আলোচনা সভা শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।