১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

২৫ মার্চে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত সেই কালো রাত্রি ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবসের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
পরে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়।

শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দিনের অন্যান্য কর্মসূচি স্থগিত রেখে কার্যপ্রণালী বিধি-১৪৭ বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব সাধারণ উত্থাপনের আহ্বান করেন।

এরপর প্রস্তাবটি উত্থাপন করে আলোচনা করেন শিরীন আখতার। তার প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা শেষে সংসদ তা গ্রহণ করলে তা কার্যকরে আদেশ দেবে নির্বাহী বিভাগ।

শিরীন আখতার তার প্রস্তাবে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙ্গালির জীবনে এক ভয়াবহ দিন। সেই কালো রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে পাশবিক হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙ্গালির উপর। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামের সামরিক অভিযানে সংগঠিত হয় ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মম গণহত্যা। তাই অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে এই দিনটি শুধু আমাদের কাছেই নয়, বিশ্বের গণহত্যার ইতিহাসেরও এক উদাহরণ যোগ্য স্মরণীয় দিন। পাকিস্তানিসেনাবাহিনী, নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের উপর সশস্ত্র হামলা করে এবং দীর্ঘ ৯মাস পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের সহযোগীতায় জামায়াতে ইসলামী নামক দলের গঠিত রাজাকার, আল শামস, আলবদর বাহিনী যৌথভাবে ৩০ লাখ বাঙ্গালিকে হত্যা করে এবং ৩ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হানি করে। ওই দিন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাংলাদেশের জনগণকে শুধু হত্যাযজ্ঞ শুরু করে নাই। আমাদের বাঙ্গালি জাতিসত্তাকে শ্বংস করার ব্রত নিয়ে তারা অপারেশনে নেমেছিল। জাতিসংঘের ঘোষণায় ‘জেনোসাইড’-এর যে সজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন হয়েছে সেদিন বাঙ্গালির ওপর।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।