১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

২হাজার বছরের ও পুরোনো তরুণীর কবরে মিলল স্মার্টফোন!

রাশিয়ার দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো  কবর থেকে পাওয়া গেল একটি ‘স্মার্টফোন’। রাশিয়ার বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারের নিচে এক তরুণীর পুরোনো কবরে সন্ধান পাওয়া গেছে এই ‘স্মার্টফোনে’র।

রাশিয়ার সায়ানো-শুশেনস্কায়া বাঁধের কাছের আলা জলাধার থেকে পানি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পানি সরতেই সন্ধান মেলে কয়েকটি প্রাচীন কবরের। তবে এত পুরোনো কবরে কীভাবে একটি স্মার্টফোন পাওয়া গেল তার উত্তর মেলেনি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কবরটি ২ হাজার ১৩৭ বছর আগে জিওনগু শাসন আমলের এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত হুন তরুণীর। ওই তরুণী দক্ষিণ রাশিয়ার গ্রামীণ অঞ্চলে থাকতেন। কবরগুলো খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, কবরটি নাতাশা নামের কোনো এক ধনী পরিবারের সন্তানের। আইফোনের মতো দেখতে বস্তুটি আদতে তাঁর পোশাকে সেটে রাখা হয়েছিল। ‘স্মার্টফোন’টি কালো রত্ন-পাথরের খচিত। দামি পাথরগুলো সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছিল।

প্রত্নতাত্ত্বিক ড. পাভেল লিওস বলেন, ‘‘নাতাশার কবরটি হুনু-যুগের (জিওনগু)। সেখানে ‘আইফোন’ পাওয়ায় ব্যাপারটি এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

ড. লিওস আরও বলেন, ওই কবরের হাড়গোড়ের সঙ্গে বেল্ট ছিল। বেল্টটি চীনের উজহু মুদ্রায় সজ্জিত ছিল। আর সে কারণে এটি কোনো সময়ের তা জানতে সুবিধা হয়েছে।

রাশিয়ার আলা-তে নেক্রোপলিসের কাছে পাওয়া বাঁধের উজানের এই জলাধারে পাওয়া পুরোনো কবরটি সন্ধান মিলেছে পানির ৫৬ ফুট নিচে। সেখানে আশপাশে ১১০টি কবরের সন্ধান মিলেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন ৩২টি কবরের সন্ধান মিলেছে।

রাশিয়া সেন্ট পিটার্সবার্গ ইনস্টিটিউট অব ম্যাটেরিয়াল হিস্ট্রি কালচারের ড. মেরিনা কিউলুনোভাস্কায়া বলেন, ‘এটি চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা। আমরা অবিশ্বাস্যরকম ভাগ্যবান কারণ ধনী হুন যাযাবরদের প্রাচীন কবরগুলো পেয়েছি। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হলো কবরগুলোতে ডাকাতেরা হানা দেয়নি।’

প্রাচীনকালে স্বর্ণ, হীরাসহ দামি বস্তু দিয়ে কোন ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করা হতো। আর এ জন্য চোর-ডাকাতেরা কবরগুলো খুঁড়ে রত্ন চুরি করে পালিয়ে যেতেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।