
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ এপ্রিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজমির শরীফ যাবেন। এর পরদিন ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকরের ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা হয়। সফরের আলোচ্য কি হবে তা-ও নির্ধারণ করা হয় দুই পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে।
তিস্তা চুক্তি, গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প, পানি, সংযোগ (কানেক্টিভিটি), জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপাল) ইস্যুতে আলোচনা করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব। এর মধ্যে সংযোগ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন একটি প্রস্তাব দেওয়া হলে ভারত পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে।
দুই পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে যেসব বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে সেসব ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
পানি ইস্যু
এ সফরে পানি বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। তারা তিস্তা চুক্তির দ্রুত সমাধানের সঙ্গে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পের জন্য যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকের আয়োজনে আগ্রহী। জানা গেছে, ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের কাছে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পে মমতা ব্যানার্জির মনোভাব ও অবস্থান জানতে চাওয়া হলে জয়শংকর সরাসরি উত্তর দেননি। অবশ্য উভয় বিষয়ে দিল্লি সরকারের সদিচ্ছার কোনও ঘাটতি নেই বলে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান।
সংযোগ
সংযোগ (কানেক্টিভিটি) বিষয়ে ঢাকার অগ্রাধিকার প্রকল্পকে গুরুত্ব দিতে চায় ভারত। দুই সচিবের মধ্যে আলোচনায় বলা হয়েছে— ঢাকা চায় বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) দ্রুত বাস্তবায়ন। এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিবিআইএন বাস্তবায়নে ভূটান অভ্যন্তরীণ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে বাকি তিন দেশ যোগাযোগটি চালু করতে পারে। এজন্য যদি বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল চুক্তির কোনও সংশোধন প্রয়োজন হয়, তা সবাই মিলে করা সম্ভব বলে একমত হয়েছেন দুই পররাষ্ট্র সচিব।
বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোর আলোচনা সাম্প্রতিক সময়ে এগোচ্ছে না জানিয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড হাইওয়েতে যোগদানের নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, তারা তিন দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বাংলাদেশকে জানাবে। এ সময় ভারতের পক্ষ থেকে মিজোরামের ডেমাগিরি ও রাঙামাটির থেগামুখ কাস্টমস স্টেশন স্থাপনের ভারতীয় প্রস্তাব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়।
বাণিজ্য
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পাটের ওপর ভারতীয় এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের বিষয়টি বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ চায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান করার জন্য ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এর উত্তরে নিজ দেশের বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান জয়শংকর।
জ্বালানি সহযোগিতা
ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-ভারত-ভূটান অথবা বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল পানি বিদ্যুৎ সহযোগিতা প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ভারতের মনোভাব ইতিবাচক বলে জয়শংকর জানিয়েছেন এবং পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করার অভিপ্রায়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।