১৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে রামু-কক্সবাজার

Cc-camara
প্রযুক্তিগত সুরক্ষার আওতায় আসছে কক্সবাজার শহরসহ রামু উপজেলা ও ঈদগাঁও শহরের গুরুত্ব পয়েন্টগুলো। চাইলেই অপরাধ সংঘটিত করে এসব এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ থাকছে না। রামু উপজেলায় ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার ও ঈদগাঁও শহরে চাহিদা মত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রামু-কক্সবাজারের জনপ্রিয় নেতা সাইমুম সরওয়ার কমলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রকল্পটি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ক্যামেরার কন্ট্রোল প্যানেল চৌমুহনী ক্ষুদ্র বণিক সমিতি লিঃ অফিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি কিংবা কোনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর আগে থেকে দেওয়া থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাগুলো বিশেষ সংকেত দেবে। এসব ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করে চাঞ্চল্যকর যে কোন ঘটনার তথ্য সহজেই উদ্ঘাটন করা যাবে। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে রামু উপজেলার ১৫টি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।

সাংসদ কমলের প্রেস সেক্রেটারি হাসান তারেক মুকিম জানিয়েছেন, রামু উপজেলার চেরাংঘাটা ষ্টেশন, উপজেলা পরিষদের সামনে, চৌমুহনী ষ্টেশন, স্বপ্নপুরী সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৫টি ও কক্সবাজার শহর এবং ঈদগাঁও ষ্টেশনের জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাংসদ কমলের নিজস্ব বরাদ্ধ থেকে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ বদলে যাচ্ছে রামু-কক্সবাজার’। রামু, কক্সবাজার ও ঈদগাঁওকে পুরোটাই ডিজিটাল ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রামু কক্সবাজারবাসীর প্রাণপ্রিয় নেতা মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। ইতিমধ্যে রামুতে ডিজিটাল ক্যামেরার কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি এও উল্লেখ করেন, রামু-কক্সবাজার জুড়ে সাংসদ কমলের নানা উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে আশান্বিত হয়ে আগামী দিনে তাঁকে মন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চান রামু- কক্সবাজারবাসী।

রামু চৌমুহনী বণিক সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক সজল বড়ুয়া জানান, রামু উপজেলায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এটি সাংসদ কমলের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে অভিমত দেন তিনি।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ কায়কিসলু জানান, বিশেষ ধরনের সফট্ওয়্যারের ব্যবহারের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের পার পাওয়ার কোন সুযোগে নেই।

এদিকে, জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসব এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অপরাধীরা।

সমস্বরের সভাপতি তানভির সরওয়ার রানা জানান, দালাল চক্রের কবলে পড়ে যেন সাধারণ মানুষ ও অসহায় বিচার প্রার্থীরা হয়রানির শিকার না হয়; এজন্য রামু থানা ও ভূমি অফিসের সামনেও একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এসব সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।

রামু নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. মিজানুল হক তানভির সওয়ার রানার এ বক্তব্যের সাথে যোগ করে বলেন_ এসব সিসিটিভি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সংশ্লিষ্ট অফিসও হতে পারে। এছাড়া রামু চৌমুহনীর যানজট নিরসনে সিসি ক্যামেরা ভূমিকা রাখতে পারে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সাধারণ মানুষ সতর্ক হয়ে নতুন ভাবে পরিচিত হবে এ প্রযুক্তির সাথে। এ উপজেলায় মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে কোন অঘটন ঘটনো সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বরের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ সিসি ক্যামেরা প্রকল্প।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।