২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

সালাহ উদ্দিনকে পেতে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার নির্দেশ

Salauddin_

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সালাহ উদ্দিনকে খুঁজতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার সকালে এ নির্দেশ দেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘তাকে খুঁজে বের করা উচিত। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসের ১ তারিখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’

রায়ের সময় আদালতে সালাহ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

শুনানিতে আদালত বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো সমাজ নেই যেখানে অপরাধ ঘটে না। বর্তমানে ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। তবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব এসব অপরাধ দমিয়ে রাখা। সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সে চেষ্টা তারা করে যাচ্ছে।’

এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যারা দায়ী বা ব্যর্থ হলো তাদের কিছু বলা না হলে এ অবস্থা চলতেই থাকবে। তাদের সাবধান করতে হবে।’

তখন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তারা সাবধান আছেন।’

এরপর আদালত খন্দকার মাহবুব হোসেনকে বলেন, ‘আপনারা কী চান?’

জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কিছু তো হবে না জানি, আমরা কোর্টের ধাক্কা চাই। একটু ধাক্কা দেওয়া আর কী।’

সালাহ উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে:

রায়ের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আদালত উত্তরা থানার কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতামূলক আদেশ দেবেন। কিন্তু সেটা হয়নি।’

দেশের সব মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

৯ এপ্রিল রুলের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (২০ এপ্রিল) রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

এর আগে ১৫ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি ও র‌্যাব তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

শুনানি শেষে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করে ১৫ মার্চ হাইকোর্টে কেন হাজির করা হবে না-তা জানতে চেয়ে ১২ মার্চ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সালাহ উদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি ফৌজদারি আবেদন করেন তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমদ।

বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা সালাহ উদ্দিন আহমদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে ১১ মার্চ থেকে অভিযোগ করে আসছে তার পরিবার।

এদিকে বিএনপিও অভিযোগ করেছে, পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহ উদ্দিন আহমদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।