১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৭ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

সাগরে ট্রলিংয়ের ধাক্কায় ডুবে গেল মাছধরার ট্রলার: নিখোঁজ ১, উদ্ধার ১৬

received_1840981726160060
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরতে গিয়ে ফিশিং ট্রলিংয়ের (ভ্যাসেল) ধাক্কায় একটি মাছধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ওই ঘটনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৬ জন মাঝি-মাল্লা উপকূলে ফিরে আসলেও একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
অন্য মাছধরার ট্রলারের মাধ্যমে উদ্ধার পাওয়া ওই জেলেরা শনিবার রাতে কক্সবাজার উপকূলে ফিরে এসেছেন।
সূত্র মতে, গত ৮ ডিসেম্বর ভোরে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। এতে কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়া এলাকার সুলতান আহমদের মালিকানাধীন এফবি (ফিশিং বোট) রুমা ট্রলারটি ডুবে যায়।
ট্রলারটির উপকূলে ফিরে আসা ড্রাইভার মোশাররফ হোসেন জানান, গত ৫ ডিসেম্বর আবুল কালাম মাঝির নেতৃত্বে ১৭ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে মাছ শিকারে সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল এফবি রুমা। গত ৮ ডিসেম্বর ভোর প্রায় সাড়ে ৫টার দিকে মাছ শিকাররত অবস্থায় চট্টগ্রামের একটি ফিশিং ট্রলিং (ভ্যাসেল) অতর্কিত এসে তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়ে কাঁত করে ফেলে। ওই ধাক্কায় তাদের মাছধরারটি ফেটে যায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যেই ট্রলারটি সাগরে ডুবতে শুরু করে।
তিনি জানান, ওই সময় মাঝি-মাল্লারা সাগরে ভাসতে থাকলে কক্সবাজার শহরেই আবদুস শুক্কুরের মালিকাধানীন আরেকটি ট্রলার তাদের মধ্যে ১৫ জনকে উদ্ধার করে মহিপুরের দিকে নিয়ে যায়। অন্য আরেকজন আরেকটির মাধ্যমে জীবনে রক্ষা পান।
ট্রলার চালক মোশাররফ হোসেনের দাবি, ১৭ জন মাঝি-মাল্লার মধ্যে ১৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও একজনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি অবশ্য নিখোঁজ জেলের নাম জানাতে পারেননি।
সূত্র মতে, উপকূলে ফিরে আসা মাঝি-মাল্লারা হলেন আবুল কালাম মাঝি (৪২), মোশাররফ হোসেন ড্রাইভার (৪৫), মোজাম্মেল হক (৫০), কফিল উদ্দিন (২৫), মোহাম্মদ রফিক (২৬), শফি আলম (৩০), হারুন (৩০), ইমরান (২৫), সেলিম (৩০), মান্নান (৩৫), আরিফ (২০), নুরুল আলম (৩০), ফোরকান (৩০), আবু তাহের (৩৫), মিরাজ (২৫) ও ফরিদ (৪৮)।
এফবি রুমা’র মাঝি আবুল কালাম জানান, ফিশিং ট্রলিংটি তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়েই পালিয়ে যায়। তবে ট্রলিংটিকে তারা চিনতে পারেননি।
তিনি জানান, অন্য ট্রলারে উদ্ধার হওয়ার পর তাদের মহিপুর উপকূলে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে গাড়িতে শনিবার রাতে তারা কক্সবাজার ফিরে আসেন।
এদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির পরিচালক হাফেজ আবুল কালাম জানান, এই ঘটনায় কক্সবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।