
বিশেষ প্রতিবেদকঃ ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকার খুবই আন্তরিক। তাদের আহার ও বাসস্থান এবং অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। কারণ স্বাস্থ্যগত দিকটি কন্ট্রোল করা না হলে তাদের মাধম্যে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিজ দেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণের চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করছে সরকার।
সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত অস্থায়ী হাসপাতাল এবং নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা ও প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্যে বিশ্বজুড়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে। তবে যতদিন পর্যন্ত তারা নিজ দেশে ফেরত যাচ্ছেন না ততদিন সরকারের তরফ থেকে তাদের সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে। সুশৃংখল ভাবে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সেনা বাহিনী কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে প্রথমে টেকনাফের শাপলাপুরে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য খোলা অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমুহে যান। এসময় তিনি সবার চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় হতদরিদ্রদেরও সাঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল, মহাসচিব ডা. আজিজ, যুগ্নসাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার বড়ুয়া, বিএমএস সহ-সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিএমএ সেক্রেটারী ডা. ফায়সাল ইকবাল, সহ-সভাপতি ডা. শফিউল আজম, জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম, জেলা সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. পু চ নু, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন বড়ুয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মন্ত্রী সড়ক পথে পর্যটন হোটেল নেটংয়ে অবস্থান নেন। বিশ্রাম শেষে বিকালে উখিয়ার বালূখালী এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।