১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

শহরে ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত ১০৯টি সিমকার্ডসহ ২ কর্মচারী গ্রেফতার


কক্সবাজার শহরে ভূয়া রেজিস্ট্রেশন করা ১০৯টি সিম কার্ড ও ভূয়া রেজিস্ট্রেশনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্রসহ সিম রেজিস্ট্রেশন প্রতিষ্ঠান উইনমিলের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা গাড়ির মাঠস্থ উইনমিলের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উইনমিলে আইটি ম্যানেজার মো. সোহেল ও সুপারভাইজার ইমরান হোসেন। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর পর সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল সোমবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
কক্সবাজার শহরসহ আশেপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে। সিমের রেজিস্ট্রেশন ভূয়া হওয়ায় ওইসব অপরাধীদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সিম জালিয়াতির এই চক্রকে ধরতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী জানান- রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের সিম রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান উইনমিলের কক্সবাজার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, সীলমোহর ব্যবহার করে ভূয়া সিম রেজিসেট্রশন করার সময় উইনমিলে আইটি ম্যানেজার মো. সোহেল ও সুপারভাইজার ইমরান হোসেনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানে ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত ১০৯টি সিম কার্ডও জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে উইনমিল ভূয়া রেজিস্ট্রেশন করে বিভিন্ন অপরাধী ও ভাসমান ব্যক্তিদের কাছে সিম বিক্রি করে আসছিল। এখন মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে নতুন করে ভূয়া সিম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছিল। পুলিশ জানায়- আটকৃতদের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ আইনের সংশোধিত ৭৩ ও ৭৪ ধারায় কক্সবাজার সদর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অনুসন্ধান চলছে।
এ ব্যাপারে গ্রামীণ ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশন প্রতিষ্ঠান উইনমিলের প্রকল্প পরিচালক ফাহিম হোসেন রানা বলেন- উইনমিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই সিম জালিয়াতির সাথে জড়িত নয়। কোন কাস্টমার মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করালে তার দায় উইনমিল বা গ্রামীণফোন নিবে না।
তিনি বলেন- পুলিশ বেআইনীভাবে আমাদের অফিসে অভিযান চালিয়ে দু’কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে। উইনমিল ও গ্রামীণফোনের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে পুলিশ এই মামলা দায়ের করেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।