১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৭ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা এই আবেদনটি শুনব না: বিচারপতি

rohinga-rit-somoyerkonthosorমিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি আউট অব লিস্ট করেন।

বিচারপতি বলেন, ‘আমরা এই রিট আবেদনটি শুনব না। আপনি আজকেই অন্য বেঞ্চে নিয়ে যান। এই আবেদনটি আমরা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিলাম।’

রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আবু ইয়াহিয়া দুলাল। রিটে সাময়িক সময়ের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া কেন অমানবিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল জানান, রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়ে, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বাঙালিরা যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম তখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এক কোটি বাঙালিকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছিল। তারা আমাদেরকে খাবার, ওষুধ ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ভারত সরকার আমাদের ওই বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছিল।

আজ স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পর ভারতের যেসব নাগরিক আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানিয়েছি। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নারকীয় হামলা ও হত্যাযজ্ঞের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে আমরা বাধা দিচ্ছি। আমাদের উচিত বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং অনুপ্রবেশের বাধা না দেওয়া।’

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো রিট আবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।