৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ২০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা এই আবেদনটি শুনব না: বিচারপতি

rohinga-rit-somoyerkonthosorমিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি আউট অব লিস্ট করেন।

বিচারপতি বলেন, ‘আমরা এই রিট আবেদনটি শুনব না। আপনি আজকেই অন্য বেঞ্চে নিয়ে যান। এই আবেদনটি আমরা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিলাম।’

রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আবু ইয়াহিয়া দুলাল। রিটে সাময়িক সময়ের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া কেন অমানবিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল জানান, রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়ে, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বাঙালিরা যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম তখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এক কোটি বাঙালিকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছিল। তারা আমাদেরকে খাবার, ওষুধ ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ভারত সরকার আমাদের ওই বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছিল।

আজ স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পর ভারতের যেসব নাগরিক আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানিয়েছি। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নারকীয় হামলা ও হত্যাযজ্ঞের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে আমরা বাধা দিচ্ছি। আমাদের উচিত বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং অনুপ্রবেশের বাধা না দেওয়া।’

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো রিট আবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।