১৯ আগস্ট, ২০২৫ | ৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৪ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

রামুর গহীন পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা, অস্ত্র ও সরঞ্জাম সহ আটক ৪

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারে রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ে ১৬ ঘন্টার বেশী সময় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব; এসময় ঘটনাস্থল বেশ কিছু অস্ত্র ও তৈরীর সরজ্ঞামাদিসহ ৪ জন কারিগরকে আটক করা হয়।
তবে অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে যায় কারখানাটির মালিক ও অস্ত্র তৈরী প্রধান কারিগর মনিউল হক।
বুধবার ভোররাতে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলী পাহাড়ে এই অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
আটক অস্ত্র তৈরীর কারিগররা হল- জাফর আলম, লাল মিয়া, মাঈন উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরী করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে র্যাবের একটি চৌকশ দল অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার ভোররাত ৫ টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি এলাকার পাহাড়ে একটি অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পায় র্যাব। এসময় কারখানটিতে অবস্থানকারি দুই কারিগরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিজেদের বসত ঘর থেকে আরও দুই কারিগরকে আটক করা হয়। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে- বিভিন্ন ধরণের দেশিয় তৈরী ১০ টি বন্দুক, ১০ টি রাইফেলের গুলি, ১২ টি কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন ধরণের বিপুল পরিমান সরজ্ঞামাদি।

র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “ আটকরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে কারাখান গড়ে তুলে তৈরী অস্ত্র বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় তাদের অপকর্ম আইন-শৃংখলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। আটকরা সন্ধান পাওয়া কারখানাটির সাথে সম্পৃক্ত থাকা আরও কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে। “
গহীন এ পাহাড়ি এলাকায় আরও কয়েকটি অস্ত্র তৈরীর কারখানা থাকার তথ্যও রয়েছে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।