১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক

রমজানের আগেই বেড়েছে চালের দাম

রমজানের বাকি প্রায় ১ মাস। ভোগ্যপণ্য চালের বাজারে শুরু হয়েছে রমজানের প্রভাব। হঠাৎ করে বেড়ে গেছে পণ্যটির দাম। খুচরা বাজারে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। অন্যান্য পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রোজার পণ্য হিসেবে বিবেচিত ছোলা, খেসারি, মসুর, চিনি, দুধ, খেজুর, তেল, পেঁয়াজ এবং রসুন যেন মূল্যবৃদ্ধির অপেক্ষায় রয়েছে। এ পণ্যগুলোর মূল্য এখনও অপরিবর্তিত থাকলেও উল্লম্ফন ঘটতে পারে, এমনই আশঙ্কা ক্রেতাসাধারণের।

প্রতি বছর রোজার পূর্বে রাষ্ট্রীয় সংস্থা টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) প্রস্তুতি ও তৎপরতা দেখা গেলেও এবার তা এখনও দৃশ্যমান নয়। বেসরকারী খাতকে একচ্ছত্র কারবারের সুযোগ না দিতে টিসিবিকে সক্রিয় রাখার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে শুধুমাত্র রোজার সময় নামকাওয়াস্তে কিছু তৎপরতা থাকলেও সারাবছরই নিষ্ক্রিয় থাকে সংস্থাটি।

চালের অতিরিক্ত দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অন্যকে দুষছেন। মিল মালিকরা বলছেন, মৌসুমের শেষভাগে মিলের সব চাল আড়তে দেওয়া হয়েছে। আড়তদাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন মিলে নতুন ধান আসছে, চাল উৎপাদন করে সরবরাহ করা হবে। তারা বলেন, সারাদেশে বৃষ্টির কারণে চাতালগুলোও নিয়মিতভাবে ধান প্রক্রিয়াজাত করতে পারেনি। হাওর অঞ্চলে অনেক চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ধানের দাম বেড়ে যাওয়া ও বন্যার কারণে সরবরাহ বিঘি্নত হওয়ায় দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। এদিকে আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্যার কারণে বোরো ধানের চাল সময়মতো বাজারে আসতে পারেনি।

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। অনেকের মতে, এখান থেকেই ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই খাতুনগঞ্জে এখন দেদার বিক্রি। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। এখান থেকে পাইকারি দামে কেনা পণ্য চলে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। খুচরা বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কিছুটা প্রবণতা পরিলক্ষিত হলেও পাইকারি বাজারে তা বাড়েনি বলে দাবি করছেন পাইকাররা।

এদিকে, হঠাৎ ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোগ্যপণ্যের মূল্য বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা বিরাজ করছে। হঠাৎ করে ডলারের মূল্য চড়া হওয়ায় তা মূল্যকে প্রভাবিত করা অস্বাভাবিক নয়। তবে ব্যবসায়ী নেতারাই বলছেন, বর্তমানে যে পণ্যগুলোর মজুদ রয়েছে তা ডলারের মূল্যবৃদ্ধির আগে আমদানি করা। সুতরাং মূল্য বাড়িয়ে রাখার চেষ্টা যদি করা হয় তা হবে অনৈতিক এবং অসততা। এ ব্যাপারেও প্রশাসনের নজরদারি থাকা প্রয়োজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।