৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

রমজান সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

রমজান মাস সামনে রেখে চড়া ভোগ্যপণ্যের বাজার। হুটহাট ওঠানামা করছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এতে অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরা। ছোলা, চিনি ও রসুনের বাজার ক্রমশঃ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। চাল, ভোজ্যতেল, আটা ও ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ ও মাংস আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে সবজির দাম। দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও।

 

বাজারে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ এবং চিনি ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া শব-ই-বরাত ইস্যুতে বেড়েছে বুটের ডালের দাম। দাম বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫, রসুন ২২০-২৪০ এবং ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়। প্রতিকেজি সরু চাল ৫০-৫৬, চাল মাঝারি ৪৬-৫০ এবং মোটা চাল ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন ৮২-৮৪ পাঁচ লিটারের বোতল ৪৯০-৫২০, মশুর ডাল ৭৫-১৩৫ এবং প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩২ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০-৫৫০ এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজায় আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ভোক্তারা।

শুক্রবারের বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতিকেজিতে ৫-১০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। শসা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়শ, টমোটো, বেগুন, করলা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গার কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। শসা ৪০ টাকা, জিঙ্গা ৬০ টাকা, টমোটো ৪০, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা, পটোল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ২০ টাকা, লাউ ৪০-৬০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ টাকা, লেবু হালিতে ৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা, কাঁচকলা ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজান মাস শুরুর আগে দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে মাছের বাজারও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি জোড়া মাঝারি ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, বড় ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোরাল মাছ কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৬৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, গুঁড়া চিংড়ি ৪০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, রুই ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রমজান মাসকে সামনে রেখে আগামী ১৫ মে সোমবার থেকে রাজধানীর ৩০টি সহ সারাদেশের ১৮৫টি নির্ধারিত স্থানে ৫টি পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

টিসিবির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চিনি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।