১১ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ জাতিসংঘ

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের গণহত্যা রোধে আন্তর্জাতিক বিচারক আদালতে (আইসিজে) যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক গোপন বৈঠক শেষে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আইসিজেতে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে কোনো প্রকার সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনৈতিক কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে জানান, গোপন ওই বৈঠকে মিয়ানমারের সহযোগী চীন, ভিয়েতনাম ও আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো এর বিরোধিতা করেছে।

এদিকে বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা (ইইউ) যৌথ এক বিবৃতিতে জানান, মিয়ানমারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে কাজ করতে হবে এবং আইসিজিতে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা মেনে চলতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই পরিস্থিতি মিয়ানমারকে তৈরি করতে হবে।

ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং এস্তোনিয়ার কাউন্সিলররা ও পোল্যান্ডের সাবেক কাউন্সিলর মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

ইইউ সদস্যরা আরও বলেন, রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলো মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে। হিউম্যান রাইটস ও মানবিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধীদের জবাবদিহিতা আন্তর্জাতিক আইনের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ।

২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা। বর্তমানে বাংলাদেশে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

জাতিসংঘের এক তদন্তে সন্দেহ করা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তকারীরা এটিকে গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।