২৪ জুলাই, ২০২৫ | ৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ | ২৮ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের

মিয়ানমারে অন্তত ৬৭০০ রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের শিকার: এমএসএফ

কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ চলতি বছর আগস্টে রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর কমপক্ষে ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস-এর (এমএসএফ) পরিচালিত এক জরিপভিত্তিক অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা সেনা অভিযানে ৪০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানির তথ্য দিয়েছিল।

 

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের মুখে ‍উঠে আসে সেনাসদস্যদের বর্বরতার কথা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে। একে নিধনযজ্ঞ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রও। এবার এমএসএফ নামের সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ‘ব্যাপক সহিংসতার স্পষ্ট ইঙ্গিত’ এটি।

এমএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট থেকে ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জরিপে বলা হয়, ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে মারা যায়। এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭’শ মৃত্যুর কারণ সহিংসতা, যার মধ্যে পাঁচ অথবা তার চেয়ে কম বয়সের শিশু ছিল ৭৩০ জন।

তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতের সংখ্যা ৪০০ যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আরাকান সন্ত্রাসী।

এমএসএফের মতে, ৬৯ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে গুলিতে। ৯ শতাংশ রোহিঙ্গা মারা গেছেন আগুনে পুড়ে। আর পিটিয়ে মারা হয়েছে ৫ শতাংশ রোহিঙ্গাকে।

নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুরাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, ১৫ শতাংশকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে আর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৭ শতাংশ শিশুকে। ২ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে স্থলমাইন বিস্ফোরণে।

এমএসএএফের মেডিক্যাল পরিচালক সিডনি ওং বলেন,  এই সংখ্যা আসলে আমাদের ধারণা মাত্র। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন একটি হিসেবে দাঁড় করাতে পেরেছি।  এমনকি সব রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হয়নি। এছাড়া সব পরিবার পালিয়ে আসার সুযোগও পায়নি। অনেক পরিবারের সবাই রোহিঙ্গা সেনাদের হাতে খুন হয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।