৪ মে, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

মিয়ানমার থেকে ইয়াবা যাচ্ছে বরিশাল

picsart_1480428730436

নৌপথে ইয়াবা খালাসের স্থান পরিবর্তন করেছে মিয়ানমার-কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা। আগে মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা খালাস হত চট্টগ্রামে। তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়া হত। এখন ইয়াবা সাগরপথে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বরিশালে। তারপর সেখান থেকেই পাচার হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ পিস ইয়াবাসহ সাতজনকে আটক করে র‌্যাব। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।

র‌্যাব অধিনায়ক মিফতাহ বলেন, নৌপথে মিয়ানমার থেকে সরাসরি ইয়াবা নিয়ে আসা হত চট্টগ্রামে। কিন্তু আমরা গত এক বছর ধরে নৌপথ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি। সাগর থেকে আমরা ২৫ লাখেরও বেশি ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা এখন ইয়াবা নিয়ে বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায়।

তবে এই রুট বন্ধেও কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন র‌্যাব অধিনায়ক।

আটক হওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন মিয়ানমারের নাগরিক। এরা হল, নবী হোসেন (৩৮), ইসাক (৩০), শরিফ হোসেন (৩৭) ও নুরুল আমিন (৩৯)।

এদের মধ্যে নবী হোসেন ৩০ বছর এবং শরিফ ১৩ বছর আগে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এখানে পরিচয় গোপন করে বসবাস করছে বলে জানান র‌্যাব অধিনায়ক। বাকি দুজন ছোটবেলায় বাবা-মার সঙ্গে কক্সবাজারে আসে বলে জানান তিনি।

আটক হওয়া বাকি তিনজন হল, মো. ফারুক (২৯), সামছুল (১৯) এবং ফারুক হোসেন। (৩৮), পিতাঃ মৃত আবুল হাসেম, গ্রামঃ দক্ষিন তালুকের চর দোহানী, পোঃ বোরযোগপুর, থানাঃ পাথরঘাটা, জেলাঃ বরগুনা।

র‌্যাব অধিনায়ক মিফতাহ জানান, আটক হওয়া মো.ফারুক এবং আবুল কালাম নামে তার এক ব্যবসায়িক পার্টনার অর্ডার দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো আনে। তারপর সেগুলো এমভি রিফা নামে একটি ট্রলারে করে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, এর আগেও তিনটি চালাতে দুই লাখ করে ছয় লাখ ইয়াবা তারা মিয়ানমার থেকে বরিশালে নিয়ে গিয়ে খালাস করেছে। আগে তারা চট্টগ্রামে ইয়াবা খালাস করলেও এখন তারা রুট পাল্টে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনাতে নিয়ে যাচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।