১৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

মার্চেই নিয়োগ পাচ্ছেন ২৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা প্যানেল এবং পুলভুক্ত সব শিক্ষককে আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা ২৪ হাজার শিক্ষক এ মাসেই নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশের পর এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ চলবে ধারাবাহিক নিয়মের মধ্য দিয়ে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ পাওয়ায় প্যানেল ও পুলভুক্ত সব শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে জটিলতা কেটে গেছে। চলতি মার্চ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যেই এসব তালিকায় থাকা শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

প্রসঙ্গত: ধারাবাহিক ভাবে যাদের নিয়োগ পাওয়ার কথা তাদের প্যানেলভুক্ত শিক্ষক ও অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষকদের পুলভুক্ত শিক্ষক বলা হয়ে থাকে।

জানা গেছে, ২০১১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৪ হাজার ৬০৯ জনের মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে নিয়মিত সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে ভবিষ্যতে নিয়োগের জন্য ‘পুল শিক্ষক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপর নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পুলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ শুরু হলেও সবাই নিয়োগ পাননি।  শেষ পর্যন্ত তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। রায় পক্ষে গেলেও নিয়োগ না পাওয়ায় আন্দোলন শুরু হয়। প্রায় দুই বছর ধরেই এ আন্দোলন চলছে।

প্যানেল ও পুলভুক্ত ২৪ হাজার শিক্ষককেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান জানান, আমরা পুল ও প্যানেলে থাকা সব শিক্ষককেই ২৪ মার্চের মধ্যেই নিয়োগপত্র পাঠাবো। তবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না ঠিক কতজন শিক্ষককে আমরা পেলাম। কারণ, এই প্যানেল ও পুল করা হয়েছে কয়েক বছর আগে।এরই মধ্যে এসব প্যানেল ও পুলে থাকা অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় যোগদান করে থাকতে পারেন। তাদের যোগদানের পরেই বোঝা যাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রকৃত সংখ্যাটি কতো?

এদিকে, মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদে ‘পুলভুক্ত শিক্ষক’দের নিয়োগের আদেশ জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ‘পুল শিক্ষক’দের করা রিট মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে ৬১ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে এসব শিক্ষককে নিয়োগ দিতে বলা  হয়। এ নিয়োগ চলছিল ধাপে ধাপে। এই প্রক্রিয়া আগামী মার্চের মধ্যেই সম্পন্ন করবে মন্ত্রণালয়।

আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্যানেলভুক্ত শিক্ষক ছিল ৪২ হাজার ৬১১ জন। ওই সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৩২ হাজার ৯৬১ জনকে। আর নিয়োগের অপেক্ষায় ছিলেন প্রায় সাত হাজার উত্তীর্ণ প্রার্থী। এবার তারাই নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রাক প্রাথমিকে সৃষ্ট পদ ৩৭ হাজার ৬৭২টি। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৯৫ জন। শূন্য রয়েছে আরও ২ হাজার ৭৭৭ টি পদ।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র মতে, গত বছরের শেষ দিকে প্যানেল ও পুলভুক্ত শিক্ষক ছিলেন প্রায় ২৮ হাজার।  তবে ধাপে ধাপে নিয়োগ দেওয়ার পর এই সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানে এই সংখ্যা ২৪ হাজারের মতো।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা অবশিষ্ট ২৪ হাজার শিক্ষককে মার্চের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে চায় মন্ত্রণালয়। তবে এই সংখ্যা কমও হতে পারে।  জানা যাবে মার্চের পর।’

প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ শতকরা ৩৫ ভাগ সরাসরি এবং ৬৫ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে দেওয়া হবে।  পদোন্নতির জন্য মহাপরিচালক অফিস প্রস্তাব পাঠালে আমরা পিএসসিতে দেই।  পিএসসি নিয়োগ করে।  এ পর্যন্ত ছয়টি জেলার প্রস্তাব পাওয়া গেছে, বাকি জেলাগুলোর প্রস্তাব এখনও আসেনি।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন।  এর মধ্যে বর্তমান সরকারের সময় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১০০ জনকে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।