১৫ জুন, ২০২৫ | ১ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৮ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছর মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। এর পরিবর্তে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছরের মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন পদ্ধতির সিলেবাস প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, মাধ্যমিকে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করেছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এই সিলেবাসটি সব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের সেই সিলেবাসের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা সেই অ্যাসাইনমেন্ট করে স্কুলে জমা দেবেন। তার ভিত্তিতে স্কুলগুলো নিজ নিজ শিক্ষার্থীর মূলাায়ন করবে। এগুলো অনলাইনেও নেয়া যাবে।’

দীপু মনি বলেন, ‘এ সময়ে অন্য কোন কার্যক্রম চলবে না। শিক্ষার্থীদের যেখানে দুর্বলতা থাকবে, সেগুলো পরবর্তী ক্লাসে পূরণ করা হবে। এটি ক্লাস মূল্যায়নে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস চালু করেছি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। সবাই এর উন্নতিতে কাজ করছে। তবে এটা ঠিক, সবার প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় সমস্যা থাকছে। তবে শিক্ষকরা মোবাইলে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। সবার কাছে নতুন বই আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার মনোভাব ও ক্লাসে আগ্রহ আছে। নভেম্বরের মধ্যে অনেকে সিলেবাস শেষ করতে পারবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পড়তে পারবে। তাদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে।’

দেশে প্রাণঘাতি করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, ইবতেদায়ি সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

-বাংলাদেশ জার্নাল

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।