৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ২১ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মহেশখালীতে পাহাড়ের ১০ স্পর্টে তৈরি হচ্ছে অস্ত্র,পাচার হচ্ছে নিকটস্থ এলাকায়

moheskhil-pic-23-11-16
অবৈধ অস্ত্রখ্যাত পাহাড়ি জনপদ কক্সবাজারের মহেশখালীতে আবারও ফিরে এসেছে আলোচিত অস্ত্র কারিগররা। হাত দিয়েছে নতুন করে অস্ত্র তৈরির কাজে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের চাহিদা ভেবে নতুন করে অস্ত্র তৈরিতে নেমেছে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ ও কারিগরা। আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর ঘন ঘন অভিযানের কারনে দ্বীপের পরিক্ষীত অস্ত্র কারিগর উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের শুক্ররিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দাসহ হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজী পাড়ার কয়েকজন অস্ত্রের কারির মহেশখালী ছেড়ে দীর্ঘদিন অন্যত্রে আতœগোপন থাকলে গত একপক্ষকাল ধরে অবস্থান করছে এলাকায়।
উপজেলার অস্ত্র তৈরীর স্বর্গ রাজ্য কালারমার ছড়া পাহাড়ী এলাকা, বড় মহেশখালী, হোয়ানক কালাাজী পাড়া, বড় ডেইল, ষাইট মারাসহ পাহাড়ের চুড়াই প্রায় ১০ স্পটে অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। ফলে অস্ত্র তৈরি আবারও ধুম পড়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে ইতিমধ্যে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর টানা অভিযানের কারনে অস্ত্র ব্যবসা একটু কমলে ও বর্তমানে অস্ত্র তৈরির কারিগররা আবার এলাকায় ফিরে আসায় শংস্কা বেড়েছে লোকজনের মাঝে। পাহাড়ে উল্লোখিত গহীন অরণ্যে খোদাই করে ও সূড়ঙ্গ করে ওয়ার্কসফ এর স্টাইলে অস্ত্র তৈরির কারখানা গুলো করা হয়েছে বলে নিভরযোগ্য সুত্র দাবী করেছে। প্রায় ১০টি অস্ত্র কারখানার মধ্যে বেশির ভাগ এখনো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। গহিন পাহাড় হওয়ার কারনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন পৌছাঁ ও বড় কঠিন ও ঝুকিপূর্ণ মনে করেন লোকজন। সন্ত্রাসীদের পাশা-পাশি রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় লোকজন অবৈধ অস্ত্রের বিকিকিনি বেড়েছে। তবে বিভিন্ন সময় র‌্যাব পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আটক করা সম্ভাব হলে রাঘব বোয়াল রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাগী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে নিকস্থ জেলার অস্ত্রের চাহিদা মিটিয়ে পাচার হচ্ছে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম – রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের ক্যাড়ারদের হাতে। এসব দৈশী তৈরী অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এক-দুই নলা লম্বা বন্দুক, কাটা বন্দুক-থ্রী কোয়াটার বন্দুক। মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতু দিয়ে সড়ক পথে অথবা নৌ-পথ দিয়ে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা পাচার করছে এসব অস্ত্র। মাঝে মধ্যে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্রের চালান। তবুও মহেশখালী থেকে বন্ধ করা যাচ্ছেনা অস্ত্র তৈরির কারখানা।
জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, অস্ত্র কারীগর ও দাগী সন্ত্রাসীরা মাথাচড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য পুলিশের চলতি অভিযান জোরদার রয়েছে। তিনি অস্ত্র তৈরির মূল স্পর্টে খবর নিয়ে অভিযান চালাবে বলে ও জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।