৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ২০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মহেশখালী ধলঘাটায় চলছে জোয়ার-ভাটা ঃ সংষ্কার নেই রাস্তা-ঘাট

untitled-1
জনসংখ্যা ও ভোটারসংখ্যা খাতায় আছে বাস্তবে নেই। ভিটি আছে অধিকাংশ ভিটিতে ঘর নেই। ঘর আছে অধিকাংশ ঘরে মানুষ নেই। নামে স্কুল আছে চিহ্ন নেই । রাস্তা আছে সংষ্কার নেই। এ ইউনিয়নের নাম হচ্ছে ধলঘাটা ।
সাগর ও নদীঘেরা মহেশখালী উপজেলার ভূ-খন্ড থেকে আলাদা ইউনিয়ন হচ্ছে ধলঘাটা । ধলঘাটা ইউনিয়নটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বা, পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ। এ ইউনিয়নের পশ্চিমে প্রতি শুষ্ক মৌসূমে দীর্ঘ ৩ কি.মি জুড়ে শুটকী মহাল ছিল। এ শুটকী মহাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুটকী সরবারহ করা হত। ১৯৯১ এর প্রলয়নকারী প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে এই ইউনিয়নটি লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর শুটকী চর , সরইতলা প্রাইমারী স্কুল, ১০টি মসজিদ , ৭টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সহ সাইটপাড়া , সরইতলা , পশ্চিম বঞ্জামিরা ঘোনা ও পন্ডিতের ডেইল সহ কয়েকটি গ্রাম এখন একেবারে ধলঘাটা মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। এসব গ্রামে চলছে জোয়ার-ভাটা । এমনকি ৪টি সাইক্লোন সেন্টার পানিতে ডুবে অবস্থায় রয়েছে । ভাটা হলে ৪টি সাইক্লোন সেন্টার ভেঁসে উঠে। এ ইউনিয়নের পশ্চিমে বেঁড়ি বাঁধ না থাকায় পুরো ইউনিয়নে চলছে জোয়ার ভাটা। কিন্তু এবার লবণ চাষ করার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু , লবণ ও চিংড়ী ব্যবসায়ী জামাল ছাত্তার ২টি স্কেভেটার গাড়ী দ্বারা রাত দিন বাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করার সময় দেখা যায় সরইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশে-পামে ৩টি গ্রাম সাগরগর্ভে হারিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে উক্ত স্কুলের শিক্ষকরা আপাতত সুতরিয়া বাজারের উত্তর পাশে একটি সাইক্লোন সেন্টারে পাঠদান দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ ইউনিয়নের বঞ্জামিরা ঘোনা , সাইটপাড়া, সরইতলা ও পন্ডিতের ডেইল সহ কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ায় এসব গ্রামের লোকজন বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করছে। বহু ভিটিতে গাছ-পালা আছে , কিন্তু ঘর নেই। আবার বহু ঘর থাকলেও মানুষ নেই। সাফ কথা সাপমারার ডেইল থেকে উত্তর মুহুরীঘোনা পর্যন্ত দীর্ঘ ৭কি.মি পদটি হচ্ছে এ ইউনিয়নের একমাত্র চলাচলের পথ । এ সড়কটি লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার জোঁয়ারের সময় এক স্থানের মানুষ অন্য স্থানে যেতে নৌকাযোগে যাতায়াত করতে হয়। এ ইউনিয়নে অভ্যন্তরীণ সড়ক বলতে কিছু নেই। কিন্তু কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী, এল.জি.এস.পি.আর এর কাজ বরাদ্দ পাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কাজ বলতে কিছুই নেই। এছাড়া ১০ টাকার চাউলে কার্ড ও এন.জিও সংস্থার মুক্তি কার্ড নিতে মেম্বারদের দিতে হয়েছে উৎকোচ। আমাদের এ প্রতিনিধি বির্ধ্বস্ত ধলঘাটা ইউনিয়নটি পরিদর্শন করার সময় অনেকে জানান গত ২ বছর পূর্বে কয়েক কোটি টাকার ব্যয়ে বেঁড়ি বাঁধ ও ব্লকের কাজ হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার স্থানীয় লোকজনের মারফতে উক্ত কাজ করায় যেন-তেন ভাবে ব্লক ও বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। যার ফলে সাগরের জোঁয়ারের পানির ধাক্কায় উক্ত বেড়ি বাঁধ ও নির্মিত ব্লকগুলো সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এবারও ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার উক্ত কাজ করার জন্য পাথর আনতে শুরু করেছে। এলাকাবাসীর দাবী উক্ত কাজে ধলঘাটার কোন ঠিকাদার বা কোন ব্যক্তিকে জড়িত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।