২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১২ পৌষ, ১৪৩২ | ৬ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

ভোটের মাঠ গোছাচ্ছে ইসি: প্রধান চ্যালেঞ্জ তিনটি

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটের মাঠ গোছাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে এ বছরের জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মযজ্ঞ। আগামী নির্বাচনে প্রধান যে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলার মাধমে চ্যালেঞ্জের বাস্তবায়নই নির্বাচন কমিশনে প্রধান লক্ষ্য।

২৩টি এজেন্ডা সামনে রেখে আগামী ১৪ মে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবে ইসি। এর মধ্যে রয়েছে— ভোটার তালিকা বানানো, নির্বাচনী আইন সংস্কার, রাজনৈতিক দল-সুশীলসমাজ, সাংবাদিক ও এনজিওগুলোর সঙ্গে সংলাপ; ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধন এবং নির্বাচনে ব্যবহারে জন্য ডিজিটাল মেশিন বা ডিভিএম-ইভিএম প্রস্তুতকরণ।

বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর  ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ইসি। নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সবার জন্য সমান সুযোগ তথা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা এবং প্রতিটি ভোটার যাতে আনন্দমুখর পরিবেশে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা এ তিনটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

সম্প্রতি আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ইসির এক বৈঠকে এই চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো উঠে আসে। ওই বৈঠকে এই তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে মাঠ কর্মকর্তাদের প্রস্তুত হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী রোডম্যাপে যে সব বিষয় অগ্রাধিকার পাচ্ছে সেগুলো হলো, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সভা বা সংলাপ, ডিজিটাল ভোটিং মেশিন প্রস্তত করা ইত্যিাদি।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দল-সুশীলসমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করে আগস্টে প্রস্তাবিত আইন-বিধির খসড়া তৈরি করা ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে সব আইন-বিধি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারিতে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পন্ন করা এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার্য ডিজিটাল মেশিন প্রস্তুত করার সময় কাঠামো ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে রোডম্যাপে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রোডম্যাপের খসড়া উপস্থাপন করা হবে। ১৪ মে এই কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কমিশন সভা হবে। কমিশনের অনুমোদনের পর প্রস্তাবিত সময় ধরে কাজ এগোবে। সে ক্ষেত্রে ইসি সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়ন করবেন।

সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।