১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৭ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

খালের পাড়ে রোহিঙ্গা নারীর আর্তনাদ

বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ী ঢলে ৩রোহিঙ্গার প্রাণহানিঃ তাবু ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বন-জঙ্গলে


শফিক আজাদ,(উখিয়ার বালুখালী থেকে ফিরে): আকস্মিক বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ী ঢলে উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যূষিত এলাকা প্লাবিত হয়ে ৩জন রোহিঙ্গার প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেছে। এসময় পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঘরবাড়ী। এসব রোহিঙ্গা তাবু ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে নিকটবর্তী বন,জঙ্গল ও পাহাড়ে। তাদের শেষ সম্বলটুকুও বৃষ্টির পানি কেড়ে নেওয়ায় খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের। সর্বস্ব হারানো এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে খাদ্য,পানি,ঔষুধ ও বাসস্থানের সংকট দেখা দিয়েছে।
বালুখালী তেলিপাড়া খালের পাড়ে পানিবন্ধি অবস্থায় আটকে পড়া রোহিঙ্গা মিয়ানমারের মংডু থানার হাইচ্চুরাতা এলাকার বাসিন্দা নুরুল হাকিম (৪৫) জানান, মিয়ানমার চলে এসে আশ্রয় নিয়েছিলাম খালের পাড়ে। মনে করেছিল দীর্ঘ সময় সেখানে কাটাবে সে। কিন্তু হঠাৎ প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে তার বসতবাড়ী তলিয়ে গিয়ে একমাত্র সম্বলটুকু শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সকালে একজন অজ্ঞাত লাশ এই খাল দিয়ে ভেসেে যেতে দেখেছি। তবে তার নাম ঠিকানা জানিনা। তার মতে, ওই রোহিঙ্গাটি কুতুপালং লম্বাশিয়া অথবা মাছকারিয়া এলাকা থেকে ভেসে এসেছে।


অপরদিকে থাইংখালী তাজনিমার খোলা খালের পাড়ে তাবু করে আশ্রিত রোহিঙ্গা মহিলা ফাতেমা বেগম (৩৫) খালের পাড়ে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে। তার নিকট জানতে চাইলে সে বলেন, তার একমাত্র স্বামী লালু মিয়াকে মিয়ানমার সেনা বাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। তার বয়োবৃদ্ধ পিতা কালা মিয়ার (৭০)সাথে ঘুমধুম জলপাইতলি সীমান্ত পয়েন্ট হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু কান্না জড়িত কণ্ঠে সে বলেন, সেই বয়োবৃদ্ধ পিতাকে পাহাড়ী ঢল ভেসে নিয়ে গেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কোন সন্ধান পায়নি।
থাইংখালী হাকিমপাড়া বস্তিতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা কবির আহমদ জানান, তার ২টি ছেলে সন্তান নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। ৩দিনের বৃষ্টির কারনে স্বাসকষ্ট বেড়ে শামশুদ্দোজা (১৮) নামের ছেলেটি মারা গেছে। স্থানীয় মুফিদুল আলমের নিকট থেকে টাকা নিয়ে কাপন কিনে দাফন সম্পন্ন করেছি।
উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ৩দিনের বৃষ্টির কারনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তাবু ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে ঔষুধপথ্য, খাবার ও কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করেছি।


উল্লেখ্য যে, ২৪ আগষ্ট নতুন করে সংগঠিত সহিংস ১২জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সহ ৩হাজারের অধিক রোহিঙ্গার নিহত হয়েছে। যদিও তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি। উক্ত সহিংসতা পরবর্তী মিয়ানমার থেকে ৪লাখ ৯হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে উখিয়ার উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।