৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৬ পৌষ, ১৪৩২ | ১০ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আ.লীগের বদি’র ক্যাশিয়ার দশবছর পর ফিরলেন বিএনপিতে   ●  অসহায় শিশুদের জন্য শীতকালীন বস্ত্র উপহার দিল স্টুডেন্টস’ প্ল্যাটফর্ম   ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর

বুশরা হত্যা মামলার সব অাসামি খালাস

High Court 1
রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় আলোচিত কলেজছাত্রী রুশদানিয়া বুশরা হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিসহ চারজনকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাদের, তার স্ত্রী রুনু কাদের, শ্যালক শওকত আহম্মেদ ও কবির আহম্মেদ।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন।

২০০৩ সালে এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। চার বছর পর হাইকোর্টের রায়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাদেরের মৃত্যুদণ্ড এবং তার স্ত্রী রুনু কাদেরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে, বাকিরা খালাস পান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল দুই পক্ষই। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ে দুই আসামির আপিল মঞ্জুর হয়, ফলে খালাস পান তারা। অন্যদিকে হাইকোর্টে দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দেওয়ায় আগের রায়ই বহাল থাকে।

রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে কিনা জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দীলিরুজ্জামান বলেন, তারা পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে তখন সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। দিলীরুজ্জামান বলেন, চাক্ষুষ সাক্ষী না থাকায় ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব বলেন, নিম্ন আদালত সন্দেহের বশবর্তী হয়ে রায় দিয়েছিলেন। বুশরাকে অজানা ব্যক্তিরা ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।

রমনা থানাধীন পশ্চিম হাজীপাড়া এলাকায় ২০০০ সালের ২ জুলাই নিজ বাসায় খুন সিটি কলেজের ছাত্রী রুশদানিয়া বুশরা। এ ঘট্নায় তার মা লায়লা ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই রমনা থানায় মামলা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয় বুশরাকে। বুশরার বাবা সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম সে সময় অবসরকালীন ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।

ওই বছরের ৫ অক্টোবর একটি সম্পূরক অভিযোগ দাখিল করেন বুশরার মা। সেখানে বুশরার খালুর সৎভাই কাদের, তার স্ত্রী রুনু ও কাদেরের শ্যালক মো. শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদকে আসামি করা হয়। তদন্তের সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মালিবাগে বুশরাদের ওই বাসা নিয়ে আত্মীয়দের দ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় ওই কলেজছাত্রীকে।

প্রথমে পুলিশ ও পরে সিআইডি এ মামলার তদন্ত করে ২০০০ সালের ১৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সেখানে কাদেরের শ্যালিকা কানিজ ফাতেমা হেনা ও কাজের মেয়ে সুফিয়াকেও আসামি করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনে ২০০৩ সালের ৩০ জুন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সরকার আবুল মনসুর আহমেদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। কাদের, শওকত ও কবিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। হেনা ও সুফিয়া বেকসুর খালাস পান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচাপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি একেএম ফজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করে। ঘটনার রাতে এম এ কাদের ও তার স্ত্রী রুনু কাদের ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে রায়ে বলা হয়, অপরাধে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ড বহাল থাকছে। শওকত ও কবিরের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হচ্ছে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল দুই পক্ষই। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ে দুই আসামির আপিল মঞ্জুর হয়, ফলে খালাস পান তারা। অন্যদিকে হাইকোর্টে দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দেওয়ায় আগের রায়ই বহাল থাকে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।