১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

বিপন্ন প্রজাতির ২ টি ভালুক শাবক উদ্ধার : আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাচারের উদ্দ্যেশে জিন্মি রাখা বিপন্ন প্রজাতির দুইটি ভাল্লুক শাবক সহ আন্তর্জাতিক পাচারকারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি); এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেফতার দীপক দাস (৩২) চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকার মৃত সোনারাম দাসের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যপ্রাণী পাচারকারিদের আটকের তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ভাল্লুক শাবক দুইটির বয়স আনুমানিক দুই মাস এবং প্রতিটির ওজন এক কেজির বেশী। সংবাদ সম্মেলনে এসপি মাহফুজুল বলেন, চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকার বাসিন্দা দীপক দাসের বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচারকাজে থাকার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আগে থেকে তথ্য ছিল। এতে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তার উপর নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তথ্য পায় দীপক দাস সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে বান্দরবান সীমান্তের চোরাইপথে দুই ভাল্লুক শাবক পাচার করে এনে নিজ হেফাজতে রেখেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকায় পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বাড়ীটি ঘেরাও করলে এক ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে বাড়ীটি তল্লাশী চালিয়ে বিপন্ন প্রজাতির দুইটি ভাল্লুক শাবক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, ” গ্রেপ্তার দীপক দাস একজন আন্তর্জাতিক বন্যপ্রানী পাচারকারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রাণী পাচরকাজে জড়িত। মূলত প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে বান্দরবান সীমান্তের চোরাইপথে আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচার করে এনে নিজ হেফাজতে রাখতো। পরে কিছুদিন রাখার পর অধিক মুনাফায় পাচার চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করতো।

গ্রেপ্তার দীপকের দেওয়া তথ্য মতে, সক্রিয় পাচার চক্রের সদস্যরা বাণিজ্য নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে থাকে। উদ্ধার করা ভাল্লুক শাবক দুইটি গত ১৪ দিন আগে তিনি মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে পাচার করে এনে নিজ বাড়ীতে হেফাজতে রাখেন।  সাম্প্রতিক সময়ে দীপক দাস সংশ্লিষ্ট পাচার চক্রের সদস্যরা দুইটি ভালুক, দুইটি উল্লুক ও ছয়টি লজ্জাবতী বানর সীমান্তের চোরাইপথে ভারতে পাচার করার  তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মাহফুজুল ইসলাম। উল্লেখ্য, আইইউসিএন বনায়ন ধ্বংস এবং বন্যপশু শিকারের কারণে ভালুকদের সংকটাপন্ন প্রজাতির প্রাণি হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশে কালো ভাল্লুক মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত এবং বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ) আইন ২০১২ এর তফসীল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। ভাল্লুক শাবকসহ গ্রেপ্তার দীপক দাসের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।