২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে মালয়েশিয়ায় দুই পুলিশের মৃত্যুদণ্ড

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে দুই ইমিগ্রেশন পুলিশের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। শুক্রবার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

বিচারপতি আবুবকর কাতার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, কাঙ্গার পারলিসের ইমিগ্রেশন পুলিশ মো. আমিনউদ্দিন ইয়াসিন এবং জুহাইরুল ইফিন্দি জুলকাফলি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কাঙ্গার পারলিসে ৪৫ বছর বয়সী অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি আবু বকর সিদ্দিককে খুন করেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর কানগার হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে অানিত অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে খালাস দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।

বিচারপতি আবুবকর কাতার জানান, আদালতে প্রতিরক্ষা প্রসিকিউশন মামলার বিরুদ্ধে যুক্তিসংগত সন্দেহ উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রসিকিউশনে সফলতার সঙ্গে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। দোষী সাবস্ত্য হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এদিকে মামলার তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, আটক আবু বকর সিদ্দিক গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ওষুধ দেয়ার জন্য ওই কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেন। তারপর সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তাকে লকআপের বাইরে আনা হয়েছিল এবং ইমিগ্রেশনের ওই দুই কর্মকর্তার হাতে লম্বা কাঠের লাঠি ছিল। ওই সময় আবু বকরের অপর এক সঙ্গী অভিযোগ করেছিলেন যে ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে মারধর করেছিল।

এ ঘটনার পরে আবু বকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ৪ নভেম্বর ২০১৪ সালে আবুবকর মারা যান। ময়নাতদন্তে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং একাধিক বেত্রাঘাতের ফলে নরম টিস্যু জখম হয়ে আবু বকরের মৃত্যু হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।