৩ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রতিবন্ধি বলে এনজিওতে চাকুরী হচ্ছেনা মেধু বড়ুয়ার

শফিক আজাদ, উখিয়া : রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উখিয়া সদর ষ্টেশনের মৃদুল আইচের দোকানের সামনে হতাশা অবস্থায় দাড়িয়ে আছে এক মহিলা। প্রথমে তাকে দেখে একটু বিষ্মিত হলাম। তার দিকে এগিয়ে যেতে-না যেতেই ডাক দেয় ব্যবসায়ী মৃদুল বাবু। আমি এগিয়ে যায় তার দিকে। ব্যবসায়ী মৃদুল আইচ আমাকে ও মহিলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তখন আমি তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করি। সে পরিচয় দিলেন তাঁর বাড়ী উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায়। নাম মেধু বড়ুয়া(২২)। পিতার নাম সানি বড়ুয়া। উখিয়া কলেজের বিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার পিতা টমটমের ড্রাইভার। মাতা-গৃহিনী। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার বড়। শারিরিক প্রতিবন্ধি হলেও চলাফেরা করতে সমস্যা হয়না তার। অভাব-অনটনের সংসারে মাঝেও পড়ালেখা ছাড়েনি মেধু। সম্প্রতি উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে একটি চাকুরীর জন্য আবেদন করি ‘এনজিও সংস্থা ব্রাকে। মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলে কর্তৃপক্ষ আমাকে শারীরিক প্রতিবন্ধি বলে রুম থেকে বের করে দেয়। এসময় তারা আমাকে বলেন যে, আমার পক্ষে নাকি ওই কাজ করা সম্ভব হবেনা। আমি তাদেরকে অনেক অনুরোধ করেও কোন কাজ হয়নি। একই ভাবে এনজিও সংস্থা মুক্তি’তে ইন্টারভিউ দিতে গেলে তারা আমাকে হেও করে পরীক্ষা না নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিওতে আবেদন করেও কোন ছাড়া পায়নি। তাই এখন চিন্তা করতেছি কেন এমন করে সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি করলেন। এক পর্যায়ে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং হতাশ হয়ে বলে উঠে প্রতিবন্ধি তাই আমাকে চাকুরী দিচ্ছেনা এনজিও। অথচ সরকার প্রতিবন্ধিদের জন্য আলাদা সুযোগ সুবিধা চালু করলেও তা মানছেনা বেসরকারী এনজিও সংস্থা। সরকার প্রতিবন্ধি ছেলে/মেয়ে বিশেষ কোটায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরীতে নিয়োগ দিচ্ছেন। প্রতিবন্ধিকে প্রতিবন্ধকতা মনে করে চাকুরীতে নিয়োগ দিচ্ছেনা স্থানীয় ভাবে কর্মরত এনজিও সংস্থা। এমন মনোভাব পরিহার করা না হলে এনজিও সংস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রত্মাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করতে আসলে আমি নিজেও স্থানীয় ছেলে/মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী দেওয়ার প্রস্তাব করি। তখন তিনি জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ঠ এনজিও সংস্থার লোকজনকে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।