পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া পয়েন্টে বিধ্বস্থ বেড়িবাঁধে মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল ১০ জুলাই শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধের বিলীন হওয়া অংশে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্থানীয় সমাজকর্মী মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলাম(লালা মিয়া) ও মোহাম্মদ পেচু মিয়া চকরিয়া-পেকুয়া আসনের হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশিদ খানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বেড়িবাঁধের বিলীন হওয়া ওই অংশ সংস্কারের জন্য উদ্যেগ নিয়েছেন। ওই দিন প্রায় ২শতাধিক শ্রমিক মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এক টানা কাজ চালিয়ে গেছেন তারা। সিরাদিয়া পয়েন্টে খর ¯্রােতা মোহনায় বেড়িবাঁধের পুর্বের বিলীন হওয়া অংশ থেকে বাঁধটি অধিকতর টেকসই করতে গাছ ও বাঁশ, বালির বস্তা দিয়ে স্প্র্যা করা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া গ্রামে প্রায় ২০০ ফুট দের্ঘ্যের ৬ টি বেড়িবাঁধের অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। এদিকে বেড়িবাধেঁর খোলা অংশ মাটি ভরাট কাজ শুরু হওয়ায় গতকাল থেকে পেকুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণদিকে লোকালয়ে সাগরের পানি প্রবেশ আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। পেকুয়াবাসীর মৃত ফাঁদ খ্যাত ওই ভাঙ্গা অংশে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীদের মধ্যে স্বস্তিভাব ফিরে এসেছে। বেড়িবাঁধে মাটি ভরাট কাজ আরম্ভ হওয়ার এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ নতুন করে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখেছে। জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হওয়ায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পুর্ব ও দক্ষিন অংশের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মাটি ভরাট কাজ চলমান থাকায় এসব মানুষগুলো আবারো তাদের নীডে ফিরে আসতে শুরু করেছে। জানা গেছে গত দুই সপ্তাহ ধরে সাগরের পানিতে নি¤œাঞ্চলের এসব মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। এরই ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চকরিয়ার কোনাখালী, পুরুত্যাখালী, ঢেুমুশিয়া থেকে আগত প্রায় দু’শত শ্রমিক মাটি কাটার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া গ্রামের সমাজকর্মী নাজিরুল ইসলাম লালা মিয়া জানান, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশিদ খানের একান্ত আশ্বাসে গতকাল থেকে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। অত্র এলাকায় ৬ টি বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ সংষ্কার করতে প্রয়োজন প্রায় ১০লাখ টাকা। তিনি আরো জানান, কোন রকম ধার কর্জ করে জনগনের দুর্ভোদের দিক বিবেচনা করে কাজ শুরু করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশিদ খান মহোদয় জানমাল রক্ষার জন্য আমাকে যেকোন উপায়ে কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন। পেকুয়ার ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন, মাননীয় এমপি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় লোকজনের প্রশংসনীয় উদ্যেগের ফলে কাজটি দ্রুত সময়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি আশা করব কাজটি যাতে স্বচ্ছভাবে হয়ে থাকে। তবে আমি একাজের সার্বক্ষনিক মনিটরিং অব্যহত রাখছি।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।