১১ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

পাসপোর্ট জালিয়াতির চেষ্টাঃ রোহিঙ্গা মহিলা ও কথিত পিতার কারাদন্ড 

আতিকুর রহমান মানিকঃ রোহিঙ্গা নারীকে নিজের মেয়ে সাজিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছে টেকনাফের এক ব্যক্তি। কথিত মেয়ে রোজিনাও তার সাথে ধৃত হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক অাবু নাঈম মাসুম এদের পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে এদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাদন্ড প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নোমান হোসেন।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে প্রকাশ, টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া গ্রামের গ্রামের জনৈক এজাহার আলম তার মেয়ে রুজিনা আকতারের জন্ম নিবন্ধন সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে রোহিঙ্গা এক নারীকে পাসপোর্ট করতে আসে। যথারীতি আবেদন কাউন্টারে ফাইল জমা দেয়ার পর কাগজপত্র, ছবি ও আবেদনকারীর আচার আচরনে অসঙ্গতি দেখা গেলে ফাইলটি আটকে চ্যালেঞ্জ করেন সহকারী পরিচালক। তখন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কথিত পিতা তার মেয়েকে এতদিন চট্টগ্রামে দত্তক দিয়েছিল বলে দাবী করে। পরে মেয়ে নামধারী রোজিনাকে চট্টগ্রামে কোথায় ছিল জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। আরো বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করার পর মহিলাটি রোহিঙ্গা বলে প্রমাণিত হলে দুপুর দুইটায় তাদেরকে সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ দন্ডবিধি’র ১৮৬ ধারা মোতাবেক এজাহার আলমকে ২ মাসের ও রোহিঙ্গা মহিলাকে ১ মাসের কারাদন্ড দেন। সদর ইউএনও এ ব্যাপারে বলেন, পুরুষ লোকটি মহিলার বাবা সেজে পাসপোর্ট করতে সহায়তা করেছে। রোহিংগাদেরকে ভোটার সহ পাসপোর্ট করতে সহায়তা করছে তাদের বিরূদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম বলেন, জনগন-জনপ্রতিনিধি ও পুলিশসহ সবাই সচেতন হলে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করার অপতৎপরতা বন্ধ হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।