২৭ আগস্ট, ২০২৫ | ১২ ভাদ্র, ১৪৩২ | ৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও স্থানান্তরের দাবিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি উখিয়াতে সমাবেশ


উখিয়া-টেকনাফ ও কক্সবাজার সহ সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন ও নির্দ্দিষ্ট জায়গায় স্থানান্তরের দাবি জোরদার হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা সর্বত্র অন্তত তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবস্থান করায় এতদাঞ্চলের গণমানুষের দুর্ভোগ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি গড়ছে ব্যাপক হারে। মিয়ানমার নাগারিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসন অথবা নির্দ্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তরের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার উখিয়া সদরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি প্রতিবাদ সমাবেশে ডাক দিয়েছে।
কক্সবাজার ভিত্তিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় ক্যাম্প ও বস্তি গড়ে তুলে প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এতে স্থানীয় দরিদ্র অসহায় শ্রমজীবি মানুষের জীবনমান ক্রমে অবনতির দিকে যাচ্ছে। সারাদেশের চেয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় দারিদ্রতার হার, অপুষ্টির হার, শিক্ষার হার, বাল্য বিহারে হার সহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। রোহিঙ্গারা সস্তায় শ্রম স্থানীয় শ্রমজীবি মানুষের মাঝে দারিদ্র্যের পরিমাণ বেড়ে চলছে। এছাড়াও গত বছর এ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী শিবিরের দায়িত্বরত সশস্ত্র আনসার বাহিনীর ব্যারাকে হামলা চালিয়ে একজন গর্বিত আনসার সদস্যকে হত্যা করে বিপুল পরিমাণের সরকারি অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি র‌্যাব অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করলেও এখনো বেশ কিছু অস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে রয়ে গেছে।
মিয়ানমার সরকার সময়ে সময়ে তাদের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়। আর রোহিঙ্গারাও অভাব অনটনে পড়ে নানার বাড়ির আবদারের মত সহজেই বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এসব আশ্রিত রোহিঙ্গারা আমাদের বনজ, প্রাকৃতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ একের পর এক ধ্বংস করে চলছে। সর্বপরি সম্প্রতি আরো প্রায় ৭০হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা ও সামাজিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনু সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাড়াবার আশংখ্যা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বিলম্ব হলে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এসব রোহিঙ্গাদের একটি নির্দ্দিষ্ট স্থানে আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তরের দাবি সর্বস্তরের গণমানুষের। রোহিঙ্গাদের দ্রুত এখান থেকে স্থানান্তরের দাবিতে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টায় উখিয়া বাস ষ্টেশনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা অত্যন্ত হিংস্র ও পরশ্রিকাতর পরায়ন। সম্প্রতি বন বিভাগের জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে তারা কর্তব্যরত বন কর্মীদের উপর অমানষিকভাবে হামলা চালায়। তিনি জানান ইতিমধ্যে রোহিঙ্গারা উখিয়া কুতুপালং এলাকায় রক্ষিত প্রায় সাড়ে ৫শ একর ও বালুখালী রক্ষিত বনাঞ্চলে প্রায় একশ একরের মত বনভূমি জবর দখল করে ঝুপড়ি ঘর বানিয়েছে। এতে বিভিন্ন সময় গড়ে তোলা বিপুল পরিমাণের সামাজিক বনায়ন ও প্রাকৃতিক বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।